মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন

অবশেষে ক্যান্সারের কাছে হেরে গেলেন সংগীতশিল্পী জুয়েল

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০২৪
  • ৭২ Time View

স্টাফ রিপোর্টার : অবশেষে ক্যান্সারের কাছে হেরেই গেলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী উপস্থাপক সংগীতা আহমেদ।

দীর্ঘ ১১ বছর ধরে ক্যান্সারে ভোগা হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তিনি স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। ১৯৬৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরে জন্ম নেয়া জুয়েলের লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে ২০১১ সালে।

এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও ক্যান্সার সংক্রমিত হয়। তখন থেকেই দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসাসেবা চলছিল।

গত অক্টোবর থেকে তিনি প্যালিয়েটিভ কেয়ারে ছিলেন। কিছুদিন আগে তাঁকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে গত মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। আর আজ চিরবিদায় নিলেন তিনি।

স্বাধীনতার পর দেশে ব্যান্ড সংগীত যখন তুমুল জনপ্রিয়, ঠিক তখনই ব্যতিক্রমী কণ্ঠ নিয়ে হাজির হন শিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। বাবার চাকরির সুবাদে জীবনের একটা বড় অংশ কাটিয়েছেন দেশের বিভিন্ন জায়গায়। মা-বাবার অনুপ্রেরণাতেই গানের জগতে পা রাখেন তিনি। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময়ই মঞ্চে প্রথম গান করেছিলেন জুয়েল। ১৯৮৬ সালে ঢাকায় এসে জড়িয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কেন্দ্রিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক তৎপরতায়। পরিচয় ঘটে মিডিয়া অঙ্গনের ব্যক্তিত্বদের সাথে।

তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। তারই ধারাবাহিকতায় ‘এক বিকেলে (১৯৯৪)’, ‘আমার আছে অন্ধকার’ (১৯৯৫), ‘একটা মানুষ’ (১৯৯৬), ‘দেখা হবে না’ (১৯৯৭), ‘বেশি কিছু নয়’ (১৯৯৮), ‘বেদনা শুধুই বেদনা’ (১৯৯৯), ‘ফিরতি পথে’ (২০০৩), ‘দরজা খোলা বাড়ি’ (২০০৯) এবং ‘এমন কেন হলো’ (২০১৭)। ১০টি একক অ্যালবামের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিতা পায় ‘এক বিকেলে’ অ্যালবামটি।

হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল ছিলেন একই সঙ্গে সংগীতশিল্পী, টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের সফল ব্যক্তিত্ব। তিনি তাঁর পেশাকে দুই ভাগে ‘আর্থিক ও মনের খোরাক’-এ ভাগ করে ছিলেন। গান করতেন হৃদয়ের টানে। নিজেকে ‘শিল্পী জুয়েল’ হিসেব পরিচিত হতে স্বাচ্ছন্দবোধ করতেন। দীর্ঘ দিন চ্যানেল আইয়ে কাজ করার সুবাদে তাঁকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল। প্রাণবন্ত, সাবলিল এবং দৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকারী সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েলের চিরবিদায়ে দেশবাসীর মতো আমরাও শোকাহত।

আপডেট সংবাদ পেতে শতাব্দীর কন্ঠ পড়ুন, শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
All rights reserved © Shatabdir Kantha . Developed by SDTT Academy & Tech Liberty