প্রতিনিধি অষ্টগ্রাম : জাতীয় আশা-আকাঙ্খার সাথে সংগতি রেখে জাতীয়-আঞ্চলিক সংস্কৃতি ও কৃষ্টির উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও প্রসার ঘটানো। দেশজ সংস্কৃতিকে জনসম্মুখে উপস্থাপনসহ নানাবিধ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে শিল্পকলা একাডেমির ভ‚মিকা অনস্বীকার্য। কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে শিল্পকলা একাডেমির কোন নির্ধারিত কার্যালয় না থাকায় আঞ্চলিক কৃষ্টি-সংস্কৃতি চর্চা ব্যাহত হচ্ছে এবং তা বিলুপ্তির পথে বলে সংশ্লিষ্টদের দাবি। জানা যায়- নির্ধারিত কোনো কার্যালয় না থাকায় দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে উপজেলার নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে পরিচালিত হয়ে আসছে। ফলে উপজেলার দেশীয়-আঞ্চলিক ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি চর্চার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নির্ভরযোগ্য স‚ত্রে জানা যায়- কেন্দ্রীয় শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালকের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসনের সদিচ্ছায় উপজেলা কোর্ট বিল্ডিংয়ের প‚র্ব দিকের ফাঁকা জায়গায় এ শিল্পকলা একাডেমি স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সমন্বয় কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হওয়ায় প্রশাসনের নির্দেশনায় উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আল-আমিন, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মোঃ আমিনুদ্দিন, জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা মনির হোসাইন, সহকারী প্রোগ্রামার আনোয়ার হোসেন, ক্ষুদ্র কৃষি উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সেখানে প্রস্তাবিত শিল্পকলা একাডেমীর একটি উপজেলা শিল্পকলার সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ দিলশাদ জাহান এ প্রতিনিধিকে জানান- বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় সংস্কৃতি বিকাশের জন্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে, শুধু অষ্টগ্রামে নেই। তাই গুরুত্বসহকারে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। তবে এ প্রতিষ্ঠান নির্মাণে প্রয়োজনীয় বরাদ্দের প্রয়োজন যা সময় সাপেক্ষে ব্যবস্থা করা হবে। হাওয়ার উপজেলা অষ্টগ্রামে শিল্পকলা একাডেমী অতি গুরুত্বপ‚র্ণ। শিল্প-সংস্কৃতি কার্যক্রম না থাকলে এক সময় অষ্টগ্রাম উপজেলার ঐতিহ্য চর্চা বিলুপ্তির পথে চলে যাবে। তাই উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি অতীব জরুরী।