স্টাফ রিপোর্টার : যতদিন পর্যন্ত রাষ্ট্র সংস্কার না হবে, ততদিন পর্যন্ত কোনো নির্বাচন নয়। রাষ্ট্র ঠিক হবে, তারপরে নির্বাচন হবে। নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র ফেরানো যায় না। আগে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে, তারপরে নির্বাচন দিতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়ামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তৌহিদ সিয়াম।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনো সরকারি সংগঠন নয় উল্লেখ করে সমন্বয়ক তৌহিদ সিয়াম আরও বলেন, এই সরকার যদি কোনো ধরনের বৈষম্য করে আমরা হুঁশিয়ার করে বলে দিতে চাই, ছাত্ররা আপনাদের বিরুদ্ধেও রাস্তায় থাকবে।
জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও আহতগণের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ, দুর্নীতি-চাঁদাবাজি-সন্ত্রাস-সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অবস্থান এবং গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটকে ধারণ করে দেশগঠন ও সংস্কারের লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মতবিনিময় সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক আরমানুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রিয় কমিটির সমন্বয়ক লুৎফুর রহমান, স্বর্ণা আক্তার রিয়া, আহনাফ সাইফ, মাওলানা আ. রহিম, কিশোরগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক ইকরাম হোসেন, অভি চৌধুরী প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আমাদের পাশের লোকটি হিন্দু নাকি মুসলিম, বিএনপি নাকি জামায়াত-শিবির কখনও ভাবিনি। আমরা একতাবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করেছি, ঠিক তেমনি আমাদেরকে একতাবদ্ধ থেকে রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে। যেখানেই বৈষম্য হবে সেখানে আমরা সবাই মিলে একত্রে যুদ্ধ করবো।
আমরা কারও উপর বোকরা চাপিয়ে দিতে চাইনা, কারও উপর পাঞ্জাবি, টুপি-পাগড়ি চাপিয়ে দিতে চাইনা। আমরা মসজিদ-মন্দির এক হয়ে চলতে চাই। কিশোরগঞ্জের জামিয়া ইমদাদিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীরা নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমাদের সাথে অংশ নিয়ে ১১৯ জন ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমরা এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিচার চাই।
মতবিনিময় সভায় জেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থী, আইনজীবী ও জেলার সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশের আগে কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা কিশোরগঞ্জ জেলায় আন্দোলনে শহীদ ও আহত পরিবারের পরিবারের সাথে সাক্ষৎ করেন।