স্টাফ রিপোর্টার, শরফ উদ্দিন জীবন : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুক বলেছেন, আন্দোলন যেন জনমুখি হয়। ব্যক্তিগত চিন্তা না করে সকলের চিন্তা করতে হবে। যে কোন দলের নেতা হোক অন্যায় করলে তার প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে প্রায় ৮ বছর পর দেশে ফিরে নিজ উপজেলা করিমগঞ্জ পাইলট স্কুল মাঠে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ওসমান ফারুক আরও বলেন, যদি অন্যায়ভাবে কাউকে শাস্তি দেওয়া হয়। জেলে নেওয়া হয়, তারও প্রতিবাদ করতে হবে। বাংলাদেশের যদি কোন নাগরিক দেশে আসতে চাই, সে ভালো হোক, মন্দ হোক কারও দেশে ফিরে আসা আটকিয়ে রাখা কোন অধিকার কোন সরকারের নেই।
আমাকে মিথ্যা অভিযোগে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে কোন অনিয়মের অভিযোগ নেই। আমি দেশ ছেড়েছি ঠিকই কিন্তু কোন বিদেশীর সহযোগিতা আমি নেইনি। আমি বিশ্ব ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে এসেছি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাকে সক্রিয় রাজনীতিতে নিয়ে আসেন।
আমি চুরি করিনি, ডাকাতি করিনি, শুধু একটা রাজনৈতিক পরিচয় আছে সেই কারণে একটা সময় আমাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি। আমার বিরুদ্ধে কোন মামলা ছিল না, কোন অভিযোগ ছিল না। দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে আমার দেশের বাহিরে যাওয়ার অধিকার আছে।
এইটা শুধু আমার ক্ষেত্রে না আরও মানুষের সাথে এমন করা হয়েছে। আমি আবারও আপনাদের কাছে আমার দেশে ফিরে এসেছি। কারও দয়াতে না। নিজের অধিকার নিয়ে এসেছি। আমি আপনাদের সাথে থেকে এখানে মরতে চাই। আমি ইচ্ছা করলে বিভিন্ন দেশের এ্যাম্বাসিতে চাকরি করতে পারি। আমার বাবার কথা ছিল তুমি চাকরি করবা ঠিক আছে তবে দেশে ফিরে শেষ জীবনটা কাজ করবা।
তিনি রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্যে বলেন, রাজনীতি করা আমাদের জন্মগত অধিকার। রাজনীতি মানে শ্লোগান আর বক্তৃতা না। মন্ত্রী এমপিদের শুধু যে বলবেন তুমি আছ যেখানে, আমি আছি সেখানে। সেই বিষয়টার কোন দরকার নাই। আমার সবকিছু যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হবে তা না। জণগণের স্বার্থে কাজ করতে হবে।
রাজনীতি করেন ঠিক আছে। কিন্তু স্বচ্ছ রাজনীতি করবেন। স্বচ্ছ রাজনীতি করলে মানুষের মন পাবেন। আমি মন্ত্রী থাকা কালীন কেউ কোন অন্যায় অনুরোধ নিয়ে আসে নাই। কেউ বলতেও পারবে না আমি কাউকে অন্যায়ভাবে কোন কাজ দিয়েছি। আমি কোন অন্যায় করিনি। আমি মনে করি যদি নিজেই অন্যায় করি তাহলে সাধারণ নেতাকর্মীরাও তাই শিখবে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে করিমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুল ইসলাম দুলালের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর মোল্লা, জালাল মোহাম্মদ গাউস, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়া,
পৌর বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম আশফাক, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন, করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ভিপি সুমন, করিমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান দুলাল শিকদারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।