স্টাফ রিপোর্টার, হোসেনপুর : হোসেনপুর উপজেলার ফায়ার স্টেশনের সামনের তিন রাস্তার মোড়ে বারবার সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানীর ঘটনা পরও সেখানে কোনো স্পিডব্রেকার স্থাপিত হচ্ছে না। গত রবিবার সকালে ইটবাহী একটি ট্রাকের চাপায় তুহিন মিয়া নামের এক শিশুর মৃত্যু হলে ক্ষোভে স্থানীয় এলাকাবাসী কিশোরগঞ্জ-হোসেনপুর ও ভালুকা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
এতে ভোগান্তি পোহাতে হয় বিভিন্ন যানবাহনের।
পরে, হোসেনপুর থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য মন্ডল ও হোসেনপুর থানার ওসি নাহিদ হাসান সুমন এঁর আশ্বাসে তারা অবরোধ খুলে দেয়।
সংশ্লিষ্ট স‚ত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ টু ভালুকা হাইওয়ে সড়ক এবং হোসেনপুর বাজার থেকে কিশোরগঞ্জগামী গুরুত্বপ‚র্ণ দুটি রাস্তা মিলিত হয়েছে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও ব্র্যাক অফিসের সামনের ওই বিপদজনক তিন রাস্তার মোড়ে। ব্রহ্মপুত্র। ফলে ওই তিনটি সড়কের সংযোগস্থলে প্রতিনিয়তই ছোট বড় দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর ঘটনা বাড়ছে। গত কয়েক বছরে এ সড়কে অর্ধডজন মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি শতাধিক ব্যক্তি পঙ্গুত্ব বরণ করে এখনো মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, তিন দিক থেকে গতিতে যানবাহন আসার ফরে বারবার এখানে দুর্ঘটনা ঘটছে। ওই তিন রাস্তার মোড়ে এত বিপুল সংখ্যক দুর্ঘটনা ঘটলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারংবার জানালেও অদ্যাবধি কোন প্রতিকার মিলছে না। তাই স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছে এটি মরণফাঁদ হিসেবেই সমুধিক পরিচিত।
স্থানীয় বাসিন্দা এমদাদুল হক বলেন, চোখের সামনে একটা শিশুকে মরতে দেখলাম। এখানে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। কিছুদিন আগেও এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। এর আগেও গতিরোধক স্থাপনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কত মৃত্যু দেখতে হবে স্থানে।
হোসনপুর থানার ওসি নাহিদ হাসান সুমন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ স্থানটি বিপদজনক। এর আগেও এখানে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে গতিরোধক স্থাপনের ব্যাপারে যোগাযোগ হয়েছে।
আজকেও এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিন্দ্য মন্ডল জানান, এ বিপদজনক স্থানে গতিরোধক বসানোর ব্যাপারে আগেও সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। আজকেও বিষয়টি নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা হয়েছে। এ স্থানে গতিরোধক স্থাপন জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।