মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন

কটিয়াদীতে অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের সাথে ভুতুরে বিদ্যুৎ বিলে অতিষ্ঠ জনগণ

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৩১ মে, ২০২৪
  • ১১৫ Time View

প্রতিনিধি, কটিয়াদী : একদিকে অতিরিক্ত লোডশেডিং অন্য দিকে ভুতুরে বিদ্যুৎ বিল, দুইয়ে মিলে দিশেহারা কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার সহশ্রাম ধুলদিয়া ইউনিয়নের ৬টি গ্রামের প্রায় তিন হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক। এর প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল (৩১ মে) সকালে কিশোরগঞ্জ নিকলী সড়কের পুরুরা এসপি বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।

জানা যায়, সহশ্রাম ধুলদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব পুরুরা, নোয়াবাড়িয়া, ফুল বাড়িয়া, আতখোলা, বাগপাড়া ও পশ্চিম পুরুরা গ্রামে গত দুই মাস যাবত ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুই থেকে তিন ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। যেখানে ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪টি কওমী মাদ্রাসা, দুইটি কমিউনিটি ক্লিনিক, একটি ফিলিং স্টেশন, শতাধিক মুরগীর ফার্ম ও প্রায় ২০টি রাইস মিল রয়েছে।

ভোক্তভোগী দিদার আকন্দ বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ আমাদের কাছ থেকে প্রতিমাসে ডিমান্ড চার্জের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আমার নিজের টাকা দিয়ে মিটার ক্রয় করে আনার পর আমার ঘরে মিটার লাগানো, আমার জায়গায় বিদ্যুৎয়ের খুটি দেওয়া সেখানে আবার আমাকেই ভাড়া দিতে হয়। তারপরও বিদ্যুৎ নিয়ে লুকোচুরি করা হচ্ছে। আমাদের এখানে দিনে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২-৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। এসব অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করুন, তা না হলে অবস্থা ভয়ানক হবে।

সাঈম আকন্দ বলেন, গত কয়েকদিস আগে সংসদে একজন এমপি বিদ্যুৎয়ের বিষয়ে কথা বলেছিলেন, তখন বিদ্যুৎ মন্ত্রী বলেছেন- বিদ্যুৎ নিয়ে কোন কথা বলা যাবে না। আরে মন্ত্রী সাহেব আপনি জনগণের টাকায় এসি গাড়ীতে চলাচল করেন। আপনারা যে হঠাৎ করে বিদ্যুৎ বিল বাড়িয়েছেন কার কাছে বলে বাড়িয়েছেন। জনগণের কাছে জবাবদিহি ও হিসাব দিতে হবে।

পুরুরা এসপি বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান জজ মিয়ার অভিযোগ, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে আমাদের ব্যবসার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। ফ্রিজে রাখা মালামাল নষ্ঠ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার আমার ফ্রিজে রাখা কয়েক হাজার টাকার দই ফেলে দিতে হয়েছে। একই সাথে ভুতুরে বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়। আমরা ছোট ব্যবসায়ীরা মাঠে মারা যাব।

কৃষক আব্দুল কাদির জানান, আমার বাড়ি প্রত্যন্ত গ্রামে। ঘরে ঘরে মিটার থাকলে কি হবে বিদ্যুতের দেখা মিলে না। আমাদের বাচ্ছাদের পড়াশুনার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এইযে গত দিন আর রাত গেল এর ২৪ ঘন্টার মধ্যে তিন ঘন্টাও বিদ্যুৎ পাইনি। বাচ্ছাদের পড়াশোনার যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি অতিরিক্ত গরমের কারণে ঘুমানোও কষ্ট। এতে করে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিদ্যুৎ বিল তো কম নেয় না। প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল না দিলে আবার জরিমানাও দিতে হয়। তাদের সবকিছু ঠিক আছে আমাদের বেলা এমন কেন?

অভিযোগের বিষয়ে জানতে কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো: ইমদাদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আপডেট সংবাদ পেতে শতাব্দীর কন্ঠ পড়ুন, শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
All rights reserved © Shatabdir Kantha . Developed by SDTT Academy & Tech Liberty