প্রতিনিধি কটিয়াদী : কটিয়াদীতে দু’পক্ষের সালিশ বৈঠককে কেন্দ্র করে চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি, হট্টগোল ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল দুপুরের উপজেলার করগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। জানা যায়, করগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লার এক আত্মীয়ের পাওনা টাকা আদায় করার জন্য চেয়ারম্যানের ভাই সুমন মোল্লা ও ভাতিজা ফাহাদ মোল্লা’র নেতৃত্বে লোকজন নিয়ে রমজান মাসে ভাট্টা গ্রামের আরমান মিয়ার বাড়িতে যায়। এ সময় করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মাহবুবুর রহমান পানু বিষয়টি মিমাংসার আশ^াস দিলে তারা চলে যায়। ঘটনার পরদিন মাহবুবুর রহমান পানু মেম্বার ইউনিয়ন পরিষদে গেলে চেয়ারম্যানের ভাই ভাতিজারা মারধোর করে গাছে বেঁধে রাখে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। দুই গ্রামের লোকজনের মাঝে সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনার জন্য গতকাল স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের উপস্থিতিতে এক সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠক চলাকালে করগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লায়ন মো সারোয়ার হোসেন বক্তব্য প্রদানের সময় ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লার লোকজন উত্তেজিত হয়ে চেয়ার ছোঁড়ে মারতে থাকে এবং উপস্থিত লোকজনের উপর হামলা চালায়। ফলে সালিশ বৈঠকটি পন্ড হয়ে যায়। করগাঁও ইউপি সদস্য মাহবুবুর হরমান পানু জানান, ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লার ছোট ভাই সুমন মোল্লা ও ভাতিজা ফাহাদ মোল্লার নেতৃত্বে আমার ওয়ার্ডের আরমান নামে একজনের নিকট টাকা পাওনা কেন্দ্রে করে বাড়ি থেকে তুলে নিতে আসলে খবর পেয়ে আমি তাদেরকে আরমানের বাড়িতে থেকে চলে যেতে বলি এবং এই বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যনকে অবহতি করি। তার প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যনের ভাই ভাতিজা আমাকে পরিষদে গেলে মারধর ও গাছের সাথে বেঁধে রাখে। করগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লায়ন মো. সারওয়ার হোসেন বলেন করগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লা একজন সন্ত্রাসী। তার ভাই ভাতিজাদের অত্যাচারে এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ। বৈঠকে তাদের কুকীর্তি সম্পর্কে বলার সময় তারা উত্তেজিত হয়ে চেয়ার ছোঁড়ে মারে। এ ঘটনায় বেশকয়েকজন আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। করগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লার মুঠো ফোনে বার বার চেষ্টা করলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ দাউদ জানান, বর্তমানে পরিস্তিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। কাউকে আটকও করা হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সালিশ বৈঠকে এডভোকেট সোহরাব উদ্দিন এমপি, সাবেক এমপি মেজর অব. আখতারুজ্জামান ও জেলা আওয়ামী লীগের সধারণ সম্পাদক এডভোকেট এম এ আফজালের উপস্থিতিত ছিলেন বলে জানা যায়।