স্টাফ, রিপোর্টার : কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব চরকরণশী গ্রামের অটোরিকশাচালক হুমায়ূন কবীরকে (২০) হত্যা করে তার অটোরিকশা ছিনিয়ে নেওয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। নিহত অটোচালক উক্ত গ্রামের ওসমানের পুত্র। গত ২ অক্টোবর রাত ৮টার পর হুমায়ূন কবীর তার অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ হয়।
পরদিন সকালে তার মরদেহ জাফরাবাদ ইউনিয়নের বাদেশ্রীরামপুর গ্রামের জঙ্গলবাড়ি মহিলা কলেজের পশ্চিম পাশে হাজী গোলাম মোস্তফার বাগানের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ পরিদর্শক মো. মহব্বত খান মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ কিশোরগঞ্জ ও গাজীপুর মেট্রোপলিটান এলাকায় প্রযুক্তিগত তথ্যের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেফতার করে।
মূল আসামি হৃদয়কে (১৯) গত রবিবার (২০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টায় করিমগঞ্জ উপজেলার বাদেশ্রীরামপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে খুদিরজঙ্গল কলাতুলি এলাকার মৃত মাহফুজের পুত্র। পেশায় সেও একজন অটোরিকশাচালক।
পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঝুটন পাঠানকে (৪০) গতকাল সোমবার বেলা দেড়টার দিকে বাজিতপুর থানা এলাকা থেকে এবং মো. আশরাফুল ইসলামকে (৩২) সোমবার ভোরে গাজীপুর মহানগরের গাছা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ঝুটন পাঠানের বাড়ি বাজিতপুরে, পেশায় সে একজন চা-বিক্রেতা এবং আশরাফুল ইসলামের বাড়ি গাজীপুরের গাছা থানা এলাকায়। পেশায় সে একজন অটোরিকশাচালক।
আসামি হৃদয়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি মো. আশরাফুল ইসলামের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়। এদিকে হৃদয় গতকাল সোমবার কিশোরগঞ্জের ৬নং আমলগ্রহণকারী আদালতের সিনিয়র
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ফৌজদারির কার্যবিধির ১৪৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, আসামি ঝুটন পাঠান এবং আশরাফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে চোরাই অটোরিকশা ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদেরকে সনাক্তপূর্বক গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।