স্টাফ রিপোর্টার : হয়রানিমূলক সাজানো মামলা দিয়ে ও প্রতিপক্ষের উপর একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে শাপ কাওলাকৃত বাড়ি ও বাড়ির জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে কিশোরগঞ্জ পৌর সভার নগুয়া ভাওয়ালী বাড়ির সংলগ্ন মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে আঃ কাদির গংদের বিরুদ্ধে। কাদির গংদের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে শরীরে বিভিন্ন অংশে ক্ষতের দাগ নিয়ে বিচারের দ্বারে-দ্বারে ঘুরছেন একই পরিবারের নিরিহ আঃ কুদ্দুছ ও স্ত্রী আলপনা খাতুন।
পুনরায় সন্ত্রাসীদের আক্রমণের ভয়ে কুদ্দুছের পরিবারটি বর্তমানে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী কাদির গং প্রতিপক্ষ কুদ্দুছের পরিবারকে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে মেরে ফেলার হুমকী প্রদান করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আঃ কুদ্দুছের স্ত্রী মোছাঃ আলপনা বাদী হয়ে গত ৯জুন আমলগ্রহণকারি জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত সদর ১ এ একটি মামলা রুজু করে এমসি তলব করেন।
মামলা ও সরজমিন সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ সদরে পৌরসভার নগুয়া ভাওয়ালি বাড়ি সংলগ্ন মৃত মনির উদ্দিনের পুত্র আঃ কাদির গংদের সাথে একই পরিবারের আঃ কুদ্দুছের পরিবারের জমি-জমা নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। নিরিহ কুদ্দুছের উপর ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উপর সন্ত্রাসী কাদির গংরা সময়ে-সময়ে একাধিকবার রক্তাক্ত আক্রমণ করার নজির রয়েছে।
সময়ে-সময়ে হাসপাতাল অথবা প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়ে কুদ্দুছের পরিবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন বলে তথ্যে উঠে এসেছে। গত ২৬/০৫/২৪ এবং ০৩/০৬/২৪ তারিখে পৃথক-পৃথক দুটি সন্ত্রাসী হামলায় কুদ্দুছ ও তার স্ত্রী গুরুতর আহত হয়ে সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। সন্ত্রাসী কাদির গংদের উপর্যুপরি আঘাতে নিরস্ত্র কুদ্দুছের মাথায় আঘাত লেগে হাড়কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। অপরদিকে কুদ্দুছের স্ত্রী মোছা: আলপনার মাথা সহ সারা শরীরে রড দিয়ে বাইরাইয়া রক্তাক্ত নীলা ফোলা জখম করে গুরুতর আহত করে ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসী রুবেল, সুমন গংরা।
পরবর্তীতে গুরুতর আলপনাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিছুটা সুস্থ্য হয়ে আলপনা গত ০৯/০৬/২৪ তারিখে বাদী হয়ে সন্ত্রাসী আঃ কাদির, রুবেল মিয়া, সুমন মিয়া, রাজন মিয়া, রুমন মিয়া, পারুল আক্তার, সাফিয়া আক্তার, জরিনা আক্তার, শিমুল আক্তার, আঃ মোতালিবকে আসামী করে সদর আমল গ্রহণকারি জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
প্রাথমিকভাবে মামলাটির এমসি তলবের নির্দেশনা দেন আদালত। বর্তমানে মামলার বাদী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আসামীরা দাঙ্গা প্রকৃতির হওয়ায় যেকোন সময় অঘটন ঘটতে পারে বলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। কুদ্দুছের পরিবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে কঠোর বিচার কামনা করেছেন।