ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি : বাংলাদেশের পুকুর, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়ে প্রায় ৪৫০ প্রজাতির শামুক পাওয়া যায়। এর মধ্যে ইদানিং আফ্রিকান জায়ান্ট শামুকের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ, তাড়াইল ও হোসেনপুর উপজেলার পথে-ঘাটে ক্ষতিকর আফ্রিকান জায়ান্ট শামুকের ব্যাপকতা দেখা দিয়েছে। সেইসাথে শামুকগুলো হালকা হলুদ বর্ণের ডিম দেওয়া শুরু করেছে। এলাকার সাধারণ মানুষ এই শামুকের ক্ষতি করার সক্ষমতা সম্পর্কে অবগত নয়। এই শামুক বিশ্বের যেসব দেশে ছড়িয়েছে সেসব দেশের জীববৈচিত্র্য ও কৃষি ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে।
শামুককে বলা হয় প্রাকৃতিক ফিল্টার। শামুক পরিবেশের বিশেষ বন্ধু হিসেবে পরিগণিত। আমাদের দেশীয় যেসব শামুক আছে সেগুলো উপকারী। তারা স্থলভ‚মিতে উঠে আসে না, পানিতেই থাকে। কিন্তু আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক স্থলভ‚মিতে উঠে এসে গাছপালা, লতাপাতা, ফলম‚ল খেয়ে ধ্বংস করে। তাই এই শামুক আমাদের দেশের কৃষির জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।
জানা গেছে, জেলার করিমগঞ্জ, তাড়াইল ও হোসেনপুর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় শামুকগুলো বেশি দেখা যাচ্ছে। বাসাবাড়ি ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে এগুলো। স্যাঁতসেঁতে ও বিভিন্ন গাছপালাতে ঝুলে আছে ঢাউস সাইজের বড় বড় শামুক। আলোক পাঠাগার-এর সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম জানান, দিনের বেলায় দেয়ালে, ঘরের টিনে, গাছে ও নানা জায়গায় দলবেঁধে লুকিয়ে থাকে এগুলো।
বের হয় রাতের বেলায়। হানা দেয় বাসাবাড়ি, দালানকোঠা, বাগান ও ক্ষেতখামারে।
এ ব্যাপারে করিমগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মুকশেদুল হক জানান, ওই প্রজাতির শামুকটি অনেক ক্ষতিকর। তবে, শামুকের ব্যাপক অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত গুরুত্বও রয়েছে অনেক।