স্টাফ রিপোর্টার : কিশোরগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের সরকারী বরাদ্দের বিপুল পরিমাণ টাকা রিসিট আর ভাউচার করে ঠিকাদারের মাধ্যমে উত্তোলন করে মোটা অংকের কমিশন নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় ঠিকাদারদের কাজ না দিয়ে বাহিরের ঠিকাদারদের দিয়ে কাজ করে সরকারী প্রকল্পের সিংহভাগ টাকা লুটপাট করা হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান তার বাসার ব্যক্তিগত কাজের লোক নূরে আলমকে দিয়ে অফিসের কাজ করায়। মাস্টার রোল বা সরকারী কোন নিয়োগ ছাড়াই সে দীর্ঘদিন ধরে সরকারী প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যাচ্ছে। প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের সাথে তিনি কমিশন বাণিজ্য করে বহাল তরিয়তে চাকুরী করছেন। অপর এক কর্মকর্তা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশর অফিসের ইস্টিমেটর রবিউল সে চাকুরী করে আবার ঠিকাদারী কাজ করে সমূদয় টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
অফিসের বিএস লেবার রেনু মিয়া তাকে দিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুর্চির কাজ করায়। প্রতিটি সাকমার্সিবল টিউবওয়েলে ৭০০ ফুট পাইব বরাদ্দ থাকলেও যতক্ষন লেয়ার না থাকে আরো গভীরে যেতে বেশী পাইব দেয়ার বিধান থাকলে ও নাম মাত্র পাইব লাগানো হচ্ছে। ঠিকাদার পিসির মাধ্যমে সব কিছুই ম্যানেজ করে নিচ্ছেন। বিভিন্ন পানির ট্যাংকি ও হাউজ নির্মানে ব্যাপক ও অনিয়ম রয়েছে।
অফিসের তৃতীয় তলায় ভিআইপিদের জন্য সংরক্ষিত আই ভি ভবনের এসি, ননএসি রুমে অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা এক যুগের ও বেশী সময় ধরে সরকারী রাজস্ব বাড়ি ভাড়া ফাঁকি দিয়ে আরাম আয়েশে বসবাস করছেন। সরকারী ভাবে নিজেদের ইচ্ছেমত তারা গ্যাস বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। এছাড়া ও অফিসের বিদ্যুৎ লাইন কর্মচারীরা আলাদা বাসায় ব্যাক্তিগত ভাবে ব্যবহার করছে। তাদের এহেন কর্মকান্ডে সরকার হারাচ্ছে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের আইভি ভবনের তৃতীয় তলায় একটা এসি রুম ও দুইটা ননএসি রুম রয়েছে। একটা এসি রুমে ডাবল সীটনহ ননএসি রুম গুলোতে সীট রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অফিসের বড় বাবু উচ্চমান সহকারী সিরাজুল ইসলাম এ ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত। তিনি দীর্ঘদিন যাবত বিনা ভাড়ায় আইভি ভবনে বসবাস করছেন।
নিজে বেতন ভাতা করার সুবাদে সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বহাল তরিয়তে আই ভি ভবনের এসি রুমে বাস করেন। তার সাথে দীর্ঘ দিন ধরে আই ভি ভবনে বসবাস করছেন ক্যাশিয়ার আল আমিন ও একাউন্টেন্ড শহিদুল ইসলাম।
সূত্রে আরো জানা যায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহাবুবুর রহমানকে ম্যানেজ করে তারা খুব নিরাপদেই ওই ভবনে বসবাস করছেন। তবে কিশোরগঞ্জ ট্রেজারী অফিসের একটি চক্র এ ঘটনার সাথে জড়িত। সরকারী ভবনে বাস করে কৌশলে সমূদয় বাড়ি ভাড়ার টাকা একাউন্টস অফিসের মাধ্যমে প্রতি মাসে তারা যথারীতি উত্তোলন করছেন।