বিশেষ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকা তিন জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলে। মন্মধ্যে আন্তঃনগর ‘কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস’ স্টেশনের এক নাম্বার প্ল্যাটফরমে এসে দাঁড়ায় এবং বিকাল চারটায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সকাল সাড়ে ছয়টায় এগারসিন্ধুর প্রভাতী ও দুপুর ১২টা পঞ্চাশ মিনিটে এগারসিন্ধুর গোধূলী ছেড়ে যায়।
‘এগারসিন্ধুর প্রভাতী’ এবং ‘এগারসিন্ধুর গোধূলী’ ট্রেন দু’টি প্রতিদিন শতশত যাত্রী পরিবহন করে। তাদের মধ্যে অনেক বয়স্ক পুরুষ-মহিলা, ছোট ছোট বাচ্চা এবং বিভিন্ন ধরনের শারীরিক প্রতিবন্ধী এগারসিন্ধুর ট্রেনে বিভিন্ন গন্তব্যে গমণ করেন। এগারসিন্ধুর প্রভাতী এবং গোধূলী দুই নাম্বার প্ল্যাটফরমে এসে দাঁড়ায় এবং ছেড়ে যায়। সমস্যাটা এখানেই।
এক নাম্বার প্ল্যাটফরম অনেক উঁচু। যে কারণে বয়স্ক পুরুষ-মহিলা, বাচ্চা, অসুস্থ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী যাত্রীদের ট্রেনে ওঠা-নামায় অনেক সমস্যা হয়। ট্রেনের দৈর্ঘের তুলনায় প্লাটফর্ম ছোটা হওয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি। উঁচু এক নাম্বার প্ল্যাটফরম হতে নিচু দুই নাম্বার প্ল্যাটফরমে যেতে উল্লেখিত যাত্রীগণ প্রায়ই দুর্ঘটনায় পতিত হন।
ফলে প্ল্যাটফরম উঁচু করে তৈরী করার সুফল পাওয়া যাচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে এই প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ স্টেশনের মাস্টার মিজানুর রহমানের সাথে কথা বলে কোন সদুত্তর পাননি। স্টেশন মাস্টার বললেন দুই নাম্বার প্ল্যাটফরম হতে এক নাম্বার প্ল্যাটফরমে ট্রেন নিয়ে আসার শান্টিং জটিলতা এড়ানোর জন্য দুই নাম্বার প্ল্যাটফরম হতে এগারসিন্ধুর প্রভাতী ও গোধূলী চালানো হয়। (একলাইন হতে আরেক লাইনে ট্রেন নেওয়ার প্রক্রিয়াকে শান্টিং বলে)। এব্যাপারে ভ‚ক্তভোগী যাত্রীগণ রেলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।