স্টাফ রিপোর্টার, সুবীর বসাক : কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. খলিলুর রহমান সোহাগের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠছে রেলওয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। ঘটনার এক সপ্তাহ পার হলেও মামলার আসামিরা এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এ নিয়ে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গতকাল রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে ভৈরব-ময়মনসিংহ সেকশনের বিভিন্ন রেলস্টেশনে কর্মরত স্টাফরা জড়ো হয়ে ঢাকাগামী অন্ত:নগর এগারসিন্দুর ট্রেনটি কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশনে কিছুক্ষণের জন্য আটকে রাখে।
এর আগে তারা স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। পরে তারা কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশনে দÐায়মান এগারসিন্দুর আন্ত:নগর ট্রেনটি আটকে রেখে ইঞ্জিনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- মাওয়া স্টেশনের স্টেশনমাস্টার হাসানুর রহমান, মশাখালি স্টেশনের স্টেশনমাস্টার সোলাইমান কবীর, শ্যামগঞ্জ স্টেশনের স্টেশনমাস্টার জহিরুল ইসলাম, গৌরীপুর স্টেশনের স্টেশনমাস্টার শফিকুল ইসলাম, মোহনগঞ্জ স্টেশনের স্টেশনমাস্টার আতাউর রহমান,
আঠারবাড়ি স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মিজানুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত স্টেশনমাস্টার হারিছুল ইসলাম, ট্রেনচালক লিটন মিয়া, পয়েন্টসম্যান আতাউর রহমান, পয়েন্টসম্যান আবুল হাশেম, গেইটম্যান মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
বক্তাগণ এখনও পর্যন্ত স্টেশনমাস্টারের ওপর হামলাকারীদের কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং রেলে কর্মরত সকল স্টাফদের নিরাপত্তা বিধানের দাবি জানান। আটকে রাখায় এগারসিন্দুর ট্রেনটি নির্দ্ধারিত সময়ের বিশ মিনিট পর ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
গত ২ নভেম্বর দুপুরে কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার মো. খলিলুর রহমান সোহাগ সস্ত্রীক এগারসিন্দুর ট্রেন থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনার জেরে সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা চালায়।
সন্ত্রাসীরা তাকে গুরুতর আহত করে এবং তার স্ত্রীর নিকট থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে পাঁচজনের নামোল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওসি মো. লিটন মিয়া গতকাল রবিবার জানান, আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।