স্টাফ রিপোর্টার ঃ ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের অনিয়ম, কেন্দ্র দখল ও অবৈধ ভোট প্রদানের অভিযোগ করেন পরাজিত কাপ পিরিছ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুন আল মাসুদ খান। গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে গাইটাল নিজ বাস ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে মামুন আল মাসুদ খান বলেন, ৮ মে বুধবার অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি কাপ পিরিছ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করি। আমার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেন (মটরসাইকেল) প্রতীকে নির্বাচন করেন। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কেন্দ্র দখল ও অবৈধ ভোট প্রদান করে আমার বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছেন। আমাকে মাত্র ২৭৮৮ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়েছে। তিনি বলেন, বিগত পাঁচ বছর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে এবং এর পরে পাঁচ বছর চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করে জনগনের আস্থা অর্জন করেছি। এর ফলে জনগন এবারও আমাকে প্রচুর ভোট দিয়েছে। তবে ক্ষমতা ও দাপটের কাছে আমি হেরে গেছি।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের দিন দুপুরের পর প্রতিদ্ধ›দ্বী প্রার্থী আওলাদ হোসেন (মটরসাইকেল) তাঁর নিজ এলাকায় তার সমর্থনকারীরা বৌলাই ইউনিয়ন, বৌলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, যশোদল ইউনিয়নসহ ১০/১২টি কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়। পরে তারা জাল ভোট প্রয়োগ করেন। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে আমার ভাই শফিকুল আলম ও নির্বাচন পর্যবেক্ষক কর্মীরা প্রতিবাদ করলে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে পুলিশ এসে রক্তাক্ত অবস্থায় আমার ভাইসহ অন্যান্যদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। বিষয়টি আমি অবগত হলে মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানালেও তিনি এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেন নি।
এ সমস্ত ঘটনায় নির্বাচন বিতর্কিত এবং সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাধারণ জনগন একদিন এর বিচার করবে। আমি এই ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
উল্লেখ্য গত ৮ মে বুধবার অনুষ্ঠিত সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মো. আউলাদ হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪৪,৯৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব মামুন আল মাসুদ খান কাপ পিরিছ প্রতীকে ৪২,১৫৪ পেয়েছেন।