স্টাফ রিপোর্টার, কুলিয়ারচর, মো. নাঈমুজ্জামান নাঈম : ‘ভ‚মি দস্যু হটাও, নাজিরদীঘি বাঁচাও’ এ স্লোগানটি সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে সরকারি জলমহাল নাজিরদীঘি কাগজপত্র জাল করে আত্মসাতের চেষ্টার প্রতিবাদে মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন করেছেন এলাকাবাসী।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টায় উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের নাজিরদীঘি (জলমহাল) পাড়ে এ মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ইউএনও’র মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে এলাকাবাসীর পক্ষে উসমানপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. সাদিরুজ্জামান বাছির বলেন, নাজিরদীঘি জলমহাল বা দিঘীর নামে একটি গ্রাম ও একটি মৌজার নামকরণ হয়েছে নাজিরদীঘি। যা আমাদের জন্মের আগে থেকেই ঐতিহ্যবাহী সরকারি দীঘি বা জলমহাল হিসেবে জেনে আসছি।
প্রায় ২৫ একরের বিশাল সরকারি দিঘীটি স¤প্রতি জাল কাগজের মাধ্যমে আদালতের রায় এবং ভ‚মি রেকর্ড নিজের পক্ষে নিয়ে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে মোশারফ হোসেন নামের ব্যক্তি আত্মসাতের চেষ্টা করছেন।
নাজিরদীঘি গ্রামের কাইয়ুম মিয়া বলেন, ১৯৭৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে অদ্যবধি পর্যন্ত নাজিরদীঘি সমবায় কৃষি খামার সমিতি লিমিটেড, নাজিরদীঘি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড ও নাজিরদীঘি পুকুরপাড় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর মাধ্যমে সরকারিভাবে লীজ গ্রহণ করে মৎস্য চাষ করে আসছেন।
উক্ত মানববন্ধনে বাছির মেম্বার, কাইয়ুম, আব্দুস সাত্তার, ও নূর মোহাম্মদসহ উপস্থিত বক্তারা জাল কাগজে সরকারি জলমহাল আত্মসাতের চেষ্টার প্রতিবাদে মো. মোশারফ হোসেনসহ এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও অতিরিক্ত দ্বায়িত্বরত সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) সাবিহা ফাতেমাতুজ্-জ্হোরা মানববন্ধনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি গ্রহণ করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতনের কাছে তা প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি।
অভিযুক্ত মোশারফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এটা আমার পৈত্রিক সম্পত্তি এবং এর পক্ষে আমার সকল কাগজপত্রই আছে। যে কাগজপত্র দেখে আদালত আমার পক্ষে একাধিক রায় দিয়েছেন।