ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, মো. আবু জামান : ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরই নিকলীতে ভেঙ্গে পড়েছে স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম। অচল অবস্থা তৈরি হয়েছে অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদে। হত্যা, নাশকতা ও ভাঙচুর মামলায় আসামি হয়েছেন ৫ ইউপি চেয়ারম্যান।
গ্রেফতার আতঙ্কে লাপাত্তা তারা। অনেক চেয়ারম্যানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে। ফলে নাগরিকত্বের সনদপত্র, জন্ম নিবন্ধন ও ওয়ারিশান সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য নাগরিক সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা।
২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর নিকলী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যার মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬টিতে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। মাত্র একটিতে অর্থাৎ দামপাড়া ইউনিয়নে মো. আনোয়ার হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হন।
সিংপুর ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, কারপাশা ইউনিয়নে নিকলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ত্বাকি আমান খান, নিকলী সদর ইউনিয়নে ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি কারার শাহরিয়ার আহমেদ তুলিপ,
জারইতলা ইউনিয়নে জারইতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল হোসেন আফরোজ গুরুই ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য-সচিব ও উপজেলা কমিটির সদস্য মো. তোতা মিয়া এবং ছাতিরচর ইউনিয়নে ছাতিরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামছুজ্জামান খান চৌধুরী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিজয় লাভ করে।
নিকলী সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের নামে হত্যাসহ নাশকতার মামলা, কারপাশার ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের নামে চাদাঁবাজিসহ নাশকতার মামলা, সিংপুর, গুরুই ও ছাতিরচর চেয়ারম্যানের নামে নাশকতাসহ ভাঙচুরের একাধিক মামলা হয়। মামলার পর থেকেই গ্রেফতার আতঙ্কে পলাতক রয়েছেন ৫ ইউপি চেয়ারম্যান।
জারইতলা ইউপি চেয়ারম্যানের নামে কোন মামলা না হলেও তিনি এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছেন।
নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া আক্তার জানান, এ বিষয়ে আমার নিকট কোন অভিযোগ নেই, অভিযোগ হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।