এফএনএস : চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীন গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে চীনের সঙ্গে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি চার্টার্ড ফ্লাইট গতকাল সোমবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। বেইজিং সময় সন্ধ্যা ৬টা ০৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের বিশেষ ফ্লাইটটি বেইজিং অবতরণ করে।
চারদিনের সফরের দ্বিতীয় দিন ৯ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে। পরদিন ১০ জুলাই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। একই দিন চীনের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস অব চায়নার প্রেসিডেন্ট ঝাও লেজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা। এছাড়াও চীনের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন। বাংলাদেশ চীনে রপ্তানি করে এক বিলিয়ন ডলারের পণ্য। বিপরীতে চীন থেকে আমদানি করা হয় ১৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
বিশাল এই বাণিজ্য ঘাটতি দূর করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এরইমধ্যে ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আলোচনা হবে ৭০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ ঋণ নিয়ে। এতে প্রাধান্য পাবে বাণিজ্য সহায়তা ও বাজেট সহায়তার আওতায় ঋণ, বিনিয়োগ সুরক্ষা, ডিজিটাল অর্থনীতি, বøু ইকোনমি, মুক্তবাণিজ্য চুক্তির সমীক্ষার ঘোষণা, সড়ক নেটওয়ার্ক, একাধিক সেতু নির্মাণ ও সংস্কার।
বিশেষ করে তিস্তা প্রকল্পে চীন কীভাবে কাজ করতে চায়, এ নিয়েও আলোচনা হবে। গত এক দশকে দুইবার চীন সফরের পাশাপাশি মোট চারবার দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন শেখ হাসিনা। এর মধ্যে ২০১৪ সালে বেইজিংয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় সফর, ২০১৬ সালে শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফর, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আবার বেইজিং সফর এবং ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। এবার তৃতীয়বারের মতো চারদিনের দ্বিপক্ষীয় সফরে বেইজিং যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।