এফএনএস বিদেশ : যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে দেশটির নাগরিকত্ব পাওয়ার বিধান বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে শিশু অবস্থায় আসা কিছু কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীকে সহায়তার জন্য তিনি ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম এনবিসির মিট দ্য প্রেসে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ট্রাম্প। গত রোববার প্রচারিত ওই সাক্ষাৎকারে অভিবাসন প্রসঙ্গে ট্রাম্প জানান, তিনি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিধান বাতিল করার পরিকল্পনা করছেন।
এই বিধান অনুযায়ী, বাবা-মা অন্য দেশে জন্মগ্রহণ করলেও যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া প্রতিটি শিশুরা মার্কিন পাসপোর্ট পায়। জন্মগত নাগরিকত্বের বিধানটি আসে মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনী থেকে। এ সংশোধনীতে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী সব ব্যক্তিই দেশটির নাগরিক।’
ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, নথিবিহীন অভিবাসী পরিবারের সদস্যরা মার্কিন নাগরিক হলেও, তাদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন তিনি। এ বিষয়ে সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, আমি পরিবারগুলোকে আলাদা করতে চাই না।
কাজেই পরিবার না ভাঙার একমাত্র উপায় হলো তাদের সবাইকে একসঙ্গে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া। সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়টিও উঠে এসেছে। ক্ষমতা গ্রহণের পর ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদান কমানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন ট্রাম্প।
এদিকে, ২০২০ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের পর ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্প সমর্থকরা কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলা চালান। ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়, এ ঘটনায় যারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন, তাদের কি তিনি ক্ষমা করবেন।
জবাবে তিনি বলেন, জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দিনেই ২০২১ সালের ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় জড়িতদের ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। তার দাবি, এই মানুষগুলো নরকযন্ত্রণা ভোগ করছেন।