স্টাফ রিপোর্টার : পাগলা মসজিদের জন্য জায়গা ক্রয়ের পূর্বে মরহুম মীর হোসেন ও আয়েশা আক্তারের জমির উত্তরাধিকার ওয়ারিশানদের সত্য, স্বার্থ ও মালিকানা বিবেচনা করে প্রত্যেকের সঠিক কাগজ পর্যালোচনা করে মসজিদের জায়গা ক্রয়ের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে মাসুদুল হাসান নামে এক ব্যক্তি।
গতকাল (১ জুন) শনিবার দুপুরে শহরের পাবলিক লাইব্রেরী হলরুমে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মাসুদুল হাসান হারুয়া এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
লিখিত বক্তব্যে মাসুদুল হাসান বলেন, পাগলা মসজিদের করবস্থান সংলগ্ন তার পিতা আব্দুর রাজ্জাকের মালিকানধীন ৫টি দাগে মোট ১৪২.৬৮ শতাংশ ভ‚মি বিদ্যমান। সেখান থেকে তার ৪ চাচা ও ৬ ফুফু পরস্পর যোগসাজসে মৃত আব্দুর রাজ্জাক, মৃত শুক্কুর মাহমুদ এবং ফুফু শামসুন্নাহারের ওয়ারিশানদের বাদ দিয়ে একতরফা বন্টন নামা তৈরী করে তাদেরকে ওয়ারিশ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
বন্টন নামা দলিলে ৪ চাচা ও ৬ ফুফুর বসতবাড়ির অংশের বিনিময়ে জমিতে তাদের প্রাপ্য অংশ ৪৫ শতাংশের সহিত ১৯ শতাংশ জমি অতিরিক্তসহ মোট ৬৪ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি বন্টননামা দলিল সম্পাদন করে দেন। ইতিপূর্বে বন্টননামা দলিল তৈরীর পরও আমাদের নিকট থেকে দুই দফায় ৫ শতাংশ জমি আমার মা, ভাই-বোন এবং ৪ চাচাসহ ভাই-বোন ৫ শতাংশ জমি পাগলা মসজিদ বরাবরে দলিল করে দেই। এতেও প্রমানিত হয় আমরাও এই জায়গার মালিক।
তিনি আরও বলেন, আমার বাবার প্রাপ্য অংশ দ্বারায় ১৫.৩৮ শতাংশ জমি যার মধ্যে বিদ্যমান। উক্ত জমি থেকে ১০ শতাংশ জমি পাগলা মসজিদ কমিটির নিকট বিক্রয় করার পরও আমাদের ৫.৩৮ শতাংশ জমি সেখানে রয়েছে। সেই জমিটুকু আমাদের বাদ দিয়ে পাগলা মসজিদের নিকট বিক্রি করার জন্য আমার চাচারা পায়তারা করছে। এ ব্যাপারে পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসকের কাছে জমির কাগজপত্রাদি যাচাই বাছাই করে ক্রয়ের জন্য মরহুম আব্দুর রাজ্জাকের পরিবারের ওয়ারিশানদের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানাই।