প্রতিনিধি, অষ্টগ্রাম, মো. নজরুল ইসলাম : দেশের চলমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রভাবশালী বিএনপি নেতা কর্তৃক জোড়পূর্বক জলমহাল দখল, মিথ্যা মামলা ও প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মোস্তাক আহম্মেদ কমল নামে অষ্টগ্রামের এক সাবেক জনপ্রতিনিধি। গতকাল সোমবার (৭ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জের শেরাটন হোটেলে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, উপজেলার চর দেওঘর জলমহালটি ইজারা পাওয়ার নিমিত্ত ভাটিনগর মৎসজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি রামচরণ দাস আমাকে আর্থিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করলে সমিতির সাথে নির্ধারিত শর্তাধীনে চুক্তিবদ্ধ হয়ে যথানিয়মে বিডি জমা থেকে আনুষাঙ্গিক ব্যয় বাবদ ৭৩ লক্ষ ২৫ হাজার ৪৪১ টাকা প্রদান করি এবং ২০২০ সালে জলমহালটি ওই সমিতির অনুকূলে ৬ বছরের জন্য ইজারা প্রাপ্ত হই।
কিন্ত পূর্ব মামলা থাকায় আদালত ইজারা আদেশটি স্থগিত করে দেয়। পরবর্তীতে আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত স্থগিতাদেশটি প্রত্যাহার করে এবং ২৫% বর্ধিত হারে ইজারার শেষ ১ বছর অর্থাৎ ১৪৩১ বঙ্গাব্দের ৩১ চৈত্র পর্যন্ত বহাল করেন।
গত ২৮জুলাই ভাটিনগর মৎসজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি, সাবেক সভাপতি রামচরণের স্ত্রী অনিতা রানী ও অপরাপর অংশীদারদের উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জলমহালটি আমাকে বুঝিয়ে দেয়। সমিতির সভাপতি অনিতা রানীসহ সকল অংশীজনদের মাঝে ও আমার ১৩আনা অংশীদারিত্বে একটি চুক্তিনামা স্বাক্ষরিত হয় এবং আমি জলমহালটি সংরক্ষণ করি।
কিন্তু দেশের উদ্ভুত পরিবর্তিত পরিস্থিতির পর অনিতা রানী আমার সাথে হঠাৎ যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ও হুমাইপুরের বাসিন্দা হেলাল খানের সাথে আঁতাত করে আমাকে জলমহাল থেকে উচ্ছেদ করে জলমহালটি জবরদখল করে নেয়।
এমনকি আমাকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে। তাছাড়া হেলাল খানের প্ররোচনায় অনিতা রানী ও রামচরণ ইতিপূর্বে আমার কাছে থেকে গ্রহণ করা টাকা ও চুক্তিনামাসহ প্রমাণাদি জোরপূর্বক গ্রহণ করেছি মর্মে কোর্টে মিথ্যা মামলা এবং মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বানোয়াট তথ্য প্রদান করে কিশোরগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেন।
পরিস্থিতি সমাধানের জন্য অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সেক্রেটারী, অষ্টগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অফিসার ইনচার্জ, বিভিন্ন অফিস প্রধানদের উপস্থিতিতে ইউএনও কার্যালয়ে মীমাংসার ব্যবস্থা করি। সেখানে আমার ১৩ আনা অংশীদারিত্বের সকল তথ্য প্রমাণ প্রদর্শন করি।
সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে অনিতা ও রামচরণ আমার সাথে সমঝোতার মাধ্যমে জলমহালটি পরিচালনা করবে মর্মে অঙ্গীকার করলেও ঐ দিন বিকালে হেলাল খান ও তার দলবলসহ ২০/২৫ জন্য অষ্টগ্রাম বাজারে এসে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং অষ্টগ্রাম থানায় বাজিতপুর বিএনপির সেক্রেটারী, অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সেক্রেটারী, আমাকেসহ ৯জনের নামে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মোস্তাক আহমেদ কমল এহেন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ঘটনার সত্যতা যাচাই করে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা, প্রতারক অনিতা দম্পতি ও জড়িতদের বিচার এবং উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।