প্রতিনিধি, কটিয়াদী : গৃহকর্মী জিদনী আক্তারকে (১১) শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে নির্মম ভাবে হত্যার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পৃথক দুইটি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুমুরদিয়া গ্রামের লোকজনদের নিয়ে চাতল বাগহাটা স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা একটি এবং প্রগতিশীল ছাত্রসমাজ অপর একটি মানবন্ধনের আয়োজন করে। প্রগতিশীল ছাত্রসমাজের ব্যানারে শতাধিক ছাত্র-জনতা মানিকখালী রেলস্টেশন থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে চাতল বাগহাটা স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন এসে মানববন্ধনে যোগ দেয়।
নিহত জিদনী আক্তার কটিয়াদী উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের চাতল গ্রামের শরিফ মিয়ার মেয়ে। সে রাজধানীর লালবাগে এক আত্মীয়ের বাসায় গৃহকর্মীর কাজে নিয়োজিত অবস্থায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়।
জিদনীর পারিবারিক স‚ত্র জানায়, ১ বছর আগে ঢাকার লালবাগের আজিমপুর বাগ মসজিদ এলাকার জামান শাহ ও আসমা আক্তার দম্পতির বাসায় কাজের জন্য যায় সে। সেখানে তাকে প্রায় সময়ই নির্যাতন করত বলে পরিবারকে জানায় জিদনী।
এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে পরিবারের সাথে কথা বলতে চাইলে তাকে সেই সুযোগটুকুও দেওয়া হত না।
জানা যায়, জিদনীকে পাশবিক নির্যাতন করে হত্যার পর রাত ২টার দিকে একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে জিদনির লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসেন তিনজন লোক। এদের মধ্যে একজন ছিলেন আসমা আক্তারের সহোদর ভাই। এ সময় তারা জানান, অতিরিক্ত বমির কারণে জিদনীর মৃত্যু হয়েছে।
পরে এ্যাম্বুলেন্স থেকে লাশ নামালে পরিবারের লোকজন জিদনীর গায়ে বিভিন্ন আঘাতের ক্ষত চিহ্ন দেখতে পান। এ সময় লাশ নিয়ে আসা দুইজন পালিয়ে যায়। অপর ব্যক্তি আসমা আক্তারের ভাই মুজাহিদকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা।
জিদনীর পিতা শরিফ মিয়া বলেন, আমার মেয়েকে যারা হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তম‚লক বিচার ও ফাঁসি চাই। যাতে করে এমন পাশবিক নির্যাতনের কারণে আর কোন পিতা-মাতার সন্তানকে হত্যা না করা হয়। গরিব হওয়াটা কি আমাদের অপরাধ।