গতকাল (১৯ মে) রোজ রবিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা এনজিও কমিটির এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক কিশোরগঞ্জের মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। সভায় আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা মালালা ফান্ডের অর্থায়নে ফ্যামিলিটাইস ফর উইমেন ডেভেলপমেন্টের পক্ষ থেকে একটি গবেষণা পত্র উপস্থাপন করা হয়।
গবেষণা পত্রটি ছিলো কোভিড কালিন সময় কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর ও নিকলীর দুই প্রত্যন্ত উপজেলায় অধ্যায়ণরত শিক্ষার্থীদের ওপর। মূলত ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কত শিক্ষার্থী কোভিডকালিন ঝড়ে পড়েছে এবং তাদের বর্তমান অবস্থার পরিসংখ্যান জানার জন্যই এই সমীক্ষা চালানো হয়।
ফ্যামিলি টাইসের পক্ষে গবেষণাটি করেছেন মনিরুজ্জামান মুকুল। তিনি গবেষণা পত্রে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে ড্রপ আউটের পরিসংখ্যান আগে ছিল ২৪ শতাংশ, যা কোভিডের সময়ে বেড়ে হয়েছে ৪৮ শতাংশে। আর যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমরা গবেষণা করেছি নিকলী উপজেলার শিংপুর হাজী আপিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, মোহরকোনা আশরাফিয়া দাখিল মাদ্রাসা, টেঙ্গুরিয়া হাজী আহম্মদ আলী দাখিল মাদ্রাসা এবং হোসেনপুর উপজেলার রামপুর হোসেনিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, দাপুনিয়া আহমাদু জে এ ডি মাদ্রাসা এবং এস.আর.ডি শামসুদ্দিন ভূঁইয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
গবেষণায় নারী শিক্ষার্থীদের ড্রপ আউটের কারণ গুলোর মধ্যে দারিদ্রতা, বাল্যবিবাহ, পারিবারিক ও সামাজিক অসচেতনতা, মোবাইল আসক্তির বিষয় পরিলক্ষিত হয়েছে। বিদ্যালয় হতে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগ নারীর বিয়ে এবং বাচ্চা হয়েছে। ফ্যামিলি টাইস ফর উইমেন ডেভেলপমেন্ট ঐ সব শিক্ষার্থীদের স্কুল গামী করার লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্যাম্পেইন এবং নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
গবেষণা কমিটির প্রধান ছিলেন মনিরুজ্জামান মুকুল। সভায় গবেষণা পত্র সকলের মাঝে উপস্থাপন করেন ফ্যামিলি টাইসের নির্বাহি পরিচালক খুজিস্থা বেগম জোনাকি।