স্টাফ রিপোর্টার : উইমেন এমপাওয়ারেমন্ট থ্রু ডেভেলাপিং কমিউনিটি বেইজড অর্গানাইজেশন (উই ডু) ফেমিনিন্ট ইন এ্যাকশন প্রকল্পের আওতায় জেলা পর্যায়ে সরকারের সাথে নারী কৃষকদের খাস জমি বিষয়ক এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকালে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর খামার বাড়ি কিশোরগঞ্জ হলরুমে অক্সফাম অর্থায়নে এ্যাডভোকেসি সভায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার। ফ্যামিলি টাইসের নির্বাহী পরিচালক খুজিস্থা বেগম জোনাকীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম।
আমন্ত্রিত অতিথির ছিলেন জেলা কৃষক লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এম এ আকবর খন্দকার, আর্থ-সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার সভাপতি শামীমা বেগম রীমা।
অনুষ্ঠানে কৃষি উপসহকারী কৃষি অফিসার, ভূমি অফিসের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, খাস জমির সুষম বন্টন হলে নারীরাও এই অধিকার পেতো। তাই খাস জমি, পতিত জমি বা অনাবাদী জমির সুষম বন্টন গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়।
বক্তারা আরো বলেন ইতিপূর্বে কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট ১০ হাজার ৮ শত হেক্টর জমি অনাবাদী ও পতিত ছিল, এখন দশ হাজার হেক্টর জমি আবাদের আওতায় এসেছে। বর্তমানে ৮ শত হেক্টর জমি অনাবাদী বা পতিত ভূমি চাষের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।
সরকার গৃহহীনদের খাস জমিতে গৃহ বরাদ্দ দিচ্ছে। আর কৃষি বিভাগ তাদের উঠান বাড়িতে সবজি, মশলা ও ফল-মূল চাষে নানা পরামর্শ একই সাথে নানা উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করছে।
ফ্যামিলি টাইসের নির্বাহী পরিচালক জানান উইডু প্রকল্পের নারীরা অনেকেই অতি দরিদ্র, বিধবা, স্বামী বিচ্ছিন্ন। তাই তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের ক্ষমতায়নের কাজ করেছে, ভ‚মিতে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা সংস্থার একটি ধারাবাহিক কার্যক্রম। উপজেলা ও জেলা পর্যায় এইরকম আলোচনা করে বর্তামানে তার অগ্রগতি নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করছে। নারী কৃষকদের এ অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থায় ছিলেন উই ডু প্রকল্পের প্রজেক্ট অফিসার লিমা আক্তার, সহযোগিতায় ছিলেন কমিউনিটি মবিলাইজার সূবর্না আক্তার।