স্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের পাইমাসকা গ্রামের একটি সংখ্যালঘু পরিবারের জমি জোর পূর্বক দখল ও নানা হয়রানির করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাইমাসকা গ্রামের পরিতোষ চন্দ্র পালের ছেলে মিন্টু চন্দ্র পালের জমি অবৈধ দখল এবং নানা ধরনের নির্যাতনের প্রেক্ষিতে একই গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান রবিনর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ক্ষিপ্ত হয়ে মেহেদী হাসান ও তার দলবল মামলা তুলিতে নিতে মিন্টু চন্দ্র পালের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কেন্দুয়া উপজেলার পাইমাসকা গ্রামের পরিতোষ চন্দ্র পালের ছেলে মিন্টু চন্দ্র পালের বাড়ির সামনের ফসলী ১২০ শতাংশ (১২ কাঠা) ধানি জমি একই গ্রামের ইউনিয়ন যুবদলের বিএনপি নেতা সিরাজ মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান রবিন (৩০) জোর পূর্বক দখল করে নিয়ে যায়।
শুধু তাই নয়, সংখ্যালঘু নিরীহ পরিবারের উপর প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী অপতৎপরতা চালিয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে মিন্টু চন্দ্র পাল থানায় মামলা দায়ের করেন।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেহেদী হাসান রবিন ও তার দলবল মিন্টু চন্দ্র পালের বাড়িতে হামলা করে এবং মামলা তুলে না নিলে পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। এতে নিরীহ পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপ্তাহীনতায় দিন পার করছে।
মেহেদী হাসান রবিন ও তার গংদের অত্যাচারে নিরীহ সংখ্যালঘু পরিবারটি কোন উপায় না পেয়ে কেন্দুয়া সহকারী জজ আদালতে জমি সংক্রান্ত একটি দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ৪৫ (১২)৬৯/২১ দায়ের করেন। সাক্ষ্য জেরা শেষে বর্তমানে মামলাটি রায়ের প্রক্রিয়াধীন আছে। আর এ জন্যই তারা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য সংখ্যালঘু পরিবারটির উপর ভীষণ চাপ প্রয়োগ করছে। দ্রুত মামলা উঠিয়ে না আনলে তাদের উপর হামলা ও খুন জখমসহ বসত বাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে বসত ভিটা ছাড়ার অব্যাহত ভয় ভীতি প্রদর্শন করছে। সন্ত্রাসী রবিন গংরা খুবই দুর্ধর্ষ প্রকৃতির লোক। জামাত ও চার দলীয় জোট সরকারের একজন চিহ্নিত ক্যাডার।
সন্ত্রাসী রবিন ও তার বাহিনীর নামে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে জ্বালাও পোড়াও ও ভাংচুরের অপতৎপরতায় কেন্দুয়া থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা নং ০৩ তারিখ ০৭/০১/২০২৪ এবং মামলা নং ০৪ তারিখ ০২/১১/২০২৩ সহ আরো অন্যান্য মামলা রয়েছে।
এদিকে সংখ্যালঘু পরিবারের মিন্টু চন্দ্র পাল জানান, বর্তমান সরকার দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধ পরিকর। আমাদের সংখ্যলঘু নিরীহ পরিবারের বিষয়টি মানবিক দিক বিবেচনা করে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও র্যাব কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রæত গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় কঠোর ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান তিনি।