সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোমান :
বাজিতপুর ইউএনও’র কিন্ডারগার্টেনউদ্বোধন নিয়ে অভিভাবক মহলের প্রশ্ন! গফরগাঁওয়ে যশরা ইউনিয়ন কৃষক দলের সমাবেশ কলাপাড়া দারুস্ সুন্নাহ মডেল মাদ্রাসার দোয়ার মাহফিল করিমগঞ্জে কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ সাদপন্থীদের বিরুদ্ধে কুলিয়ারচরেপ্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান তাড়াইলে চেয়ারম্যানের পুনর্বহালের জোর দাবি জনসাধারণের দেশের প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে নতুন সম্ভাবনা তৈরিতেবাজারে অত্যাধুনিক ফিড নিয়ে এল আকিজ রিসোর্স কটিয়াদীতে এনটিআরসিএ ভুয়াসুপারিশপত্র দেখিয়ে ৩ শিক্ষক নিয়োগ আজ ইটনায় বিএনপির বিজয় উৎসব ও জনসভা কিশোরগঞ্জ সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদকবিদের সম্মানে প্রবর্তন করে বুরদা পুরষ্কার

ঝাঁকি জাল দিয়ে মাছ শিকার বিলুপ্তপ্রায়

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০২৪
  • ৭৮ Time View

আব্দুল কুদ্দুস, প্রতিনিধি কটিয়াদী : কটিয়াদীতে বর্ষাকালে ঝাঁকিজাল দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য খুব চোখে পড়ত। পেশাদার জেলেরা ছাড়াও সাধারণ সৌখিন মৎস্য শিকারিরাও ঝাঁকিজাল দিয়ে মাছ ধরতেন। তবে বর্তমানে সেই ঝাঁকিজালের ব্যবহার অনেক কমে এ উপজেলাসহ বাংলাদেশের অনেক স্থানে জালের ব্যবহার প্রচুর কমে যাচ্ছে। এর মূল কারণ এই জাল ব্যবহারে অতীতের মতো যথেষ্ট মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই জালের ব্যবহার বিলুপ্তির পথে।

জানা যায়, জাল বাংলাদেশের প্রাচীনকাল থেকে মাছ ধরার একটি কৌশল। এর মধ্যে ঝাঁকি জাল অন্যতম। ঝাঁকি জালের উপরের প্রান্তে সরু রশি বাঁধা (৪/৫ হাত) থাকে। জালের নিচের দিকে লোহার ছোট ছোট কাঠি যুক্ত করা হয়। যাতে পানিতে জাল ফেললে তাড়াতাড়ি ডুবে যেতে পারে এবং কোনোভাবে মাছ পালাতে না পারে। মাছ ধরার সময় খাল, পুকুর বা নদীর তীর থেকে রশিটি হাতে রেখে জাল পানিতে ছুড়ে মারা হয়। পরে রশি ধরে টেনে জাল তোলা হয়। জালের নিচে অনেক ধরনের মাছ আটকা পড়ে। তার মধ্যে পুঁটি, চিংড়ি, রামসোস, পোমা, ফাইলশা, কার্প ও নলা মাছ বেশি ধরা পড়ে।

স্থানীয় কৃষক হাবিব হাওলাদার জানান, এই জালে আগের মতো মাছ উঠছে না বিধায় ব্যবহার কমে যাচ্ছে। স্থানীয় জেলে মোতালেফ জানান, সারা দিন জাল দিয়ে মাছ ধরলে দুই থেকে তিন’শ টাকার মাছ পাওয়া যায়। তাই এই জালের ব্যবহার এখন বিলুপ্তির পথে।

একাধিক মৎস্যজীবী জানান, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, কারেন্ট জালের অবৈধ ব্যবহার, ফসলি জমিতে অপরিকল্পিত কীটনাশক ব্যবহার, জলাশয় দূষণ, নদ-নদীর নব্যতা হ্রাস, উজানে বাঁধ নির্মাণ, নদীসংশ্লিষ্ট খাল-বিলের গভীরতা কমে যাওয়া, ডোবা ও জলাশয় ভরাট করা, মা মাছের আবাসস্থলের অভাব, ডিম ছাড়ার আগেই মা মাছ ধরে ফেলা, ডোবা-নালা-পুকুর-বিল থেকে ছেঁকে মাছ ধরা, বিদেশী রাক্ষুসে মাছের চাষ এবং মাছের প্রজননে ব্যাঘাত ঘটানো এসব কারণে ৫০টির বেশি দেশী প্রজাতির মাছ হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এসব কারণেই ঝাঁকি জাল দিয়ে মাছ শিকার বিলুপ্তির পথে।

আপডেট সংবাদ পেতে শতাব্দীর কন্ঠ পড়ুন, শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
All rights reserved © Shatabdir Kantha . Developed by SDTT Academy & Tech Liberty