ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিদি : ইসলামিয়া মার্কেটের সামনের ফুটপাত অনেক আগেই আম, লিচু, লটকন ও ঝালমুড়িওয়ালাদের দখলে চলে গেছে। এখন ভৌমিক স্টোর মুড়ির বস্তা ও অন্যান্য মালামাল রেখে ফুটপাতও দখল করেছে। পথচারীদের ড্রেনের উপর দিয়েও হাঁটার কোন জো নেই। পৌর ও জেলা প্রশাসনের কর্তাগণের কি চোখে পড়ে না? পড়লে নিশ্চিয়ই প্রতিকারের উদ্যোগ দেখা যেত।
পুরানথানা মোড় হতে টিনপট্টি হয়ে বড়বাজার ব্রীজ মাছমহালের সামনে দিয়ে ধানমহালের মোড় পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা আরো ভয়াবহ। পুরানথানা মোড় থেকে টিনপট্টি ঢুকতেই হাতের ডানদিকে ফুটপাতের উপর মোবাইল রিচার্জের টেবিল। সাথে একটি ফলের দোকান, চায়ের দোকানের সাথে ড্রেনের উপর পান সিগারেটের দোকানের পুরোটাই ফুটপাতের উপর। জুতার দোকানের সামনে চৌকি রেখে ম‚লসড়ক দখল করেছে। মেসার্স আ: রব ট্রেডার্সের সামনের ফুটপাত ছাড়াও ম‚ল সড়কের অনেকটাই দোকানের মালামাল রেখে পথচারীদের চলার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে।
একটু সামনেই দি স্টার স্যানেটারী এন্ড টাইলস বিক্রয়ের উদ্দেশে পানির ট্যাংক ম‚ল সড়কে সারাদিন প্রদর্শনীর জন্য রেখে দেয়। এই সড়কটি বেশ প্রসস্থ। তা সত্তে¡ও বিভিন্ন দোকানের বিক্রয়ের জন্য রাখা পণ্য সামগ্রি, টিন-রড-সিমেন্ট, পরিবহনের ভ্যান মিলে অর্ধেক দখলে নিয়ে রাস্তাটি সরু করে ফেলেছে। নির্মাণ ও বিনিময় ট্রেডার্স নামক দুটি রড সিমেন্টের দোকানের রড মাপার যন্ত্র এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে, রড মাপার সময় সড়কের অনেকটা রডের দখলে চলে যায়। ফলে প্রায়ই পথচারীগণ দুর্ঘটনায় পতিত হন।
ব্রীজের উপর কাঁচা বাজার বসে প্রতিদিন। মাছমহালের মোড় হতে দক্ষিণে ধানমহালের মোড় পর্যন্ত সড়কের পশ্চিম পাশের ড্রেনের পাটাতন বা ফুটপাত পুরোটাই পাশের দোকানিদের দখলে। কাঠের চৌকি বসিয়ে তেলের ড্রাম ও অন্যান্য সামগ্রী রেখে ফুটপাত দখল করে নিয়েছে। তারা প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে।
মাস ছয়েক আগে উল্লেখিত সড়কগুলোতে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে স্বাভাবিক রূপ দিয়ে ছিল। কিন্তু বর্তমান অবস্থা অভিযান পূর্ব অবস্থায় ফিরে গেছে। ফুটপাত পথচারীর নয় দোকানিদের দখলে, আর কর্তৃপক্ষ? কিশোরগঞ্জ শহরে কর্তৃপক্ষ আছে, নাকি নেই, সময় সব বলে