প্রতিনিধি, তাড়াইল : শরৎকাল মানেই সাদা রঙের খেলা। নীল আকাশে সাদা মেঘ আর নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে দোল খাওয়া কাশবন মনে জাগায় অন্য রকম অনুভ‚তি। শারদীয় এ ঋতুতে ভ্রমণবিলাসীদের প্রথম পছন্দ কাশবন। কাশফুলের ছোঁয়া পেতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষজন।
সরেজমিনে গতকাল বুধবার গিয়ে দেখা যায়, কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা সদর বেলংকা রোড এলাকাসহ বিভিন্ন রাস্তার পাশে দোল খাচ্ছে কাশবন। প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট কাশফুলের বাগান। জেগে উঠা কাশবন দেখতে প্রতিনিয়ত পর্যটকরা ভিড় করছেন। কাশফুলের অপার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন তারা। যান্ত্রিক জীবনের কোলাহল ছেড়ে মুক্ত আনন্দ পেতে প্রতিনিয়ত মানুষ ছুটে আসছে এসব কাশবনে।
বিশেষ করে শেষ বিকেলের মুহূর্তে এটার সৌন্দর্য আরো অনেকগুণ বেড়ে যায়। এ কারণে বেশিরভাগ পর্যটক আসছেন বিকেলে। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থীরা কাশবনে সেলফি বা নিজের ছবিটা ক্যামেরাবন্দি করছে। আবার কাউকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কন্টেন্ট তৈরী করতেও দেখা গেছে।
তাড়াইল-সাচাইল ইউনিয়নের পশ্চিম সাচাইল গ্রাম থেকে কাশবন দেখতে আসা সৌরভ নামের এক ব্যক্তির সাথে কথা বললে তিনি জানান, মানসিক শান্তি আর কাশফুলের শুভ্রতা উপভোগ করতে এখানে ছুটে এসেছি। কাশফুলের বাগান কাছাকাছি হওয়াতে আমি এখানে আসতে পেরেছি। কাশ ফুলের বাগানে ঘুরতে এসে অনেক তৃপ্তি পাচ্ছি।
কাশফুলের সেই মনোমুগ্ধকর দৃশ্যগুলো সত্যিই নজর কাড়ে। কাশফুল দেখতে আসা প্রকৃতিপ্রেমী জেরিন আকতার জানান, কাশফুল ছাড়া শরৎ পরিপ‚র্ণ না। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে পর্যটকরা কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসে। কিন্তু দুঃখের বিষয় অনেক পর্যটকই ফুল ছিঁড়ে নিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, ফুলের সৌন্দর্য হাতে নয় গাছেই শোভা পায়।
এবিষয়ে কথা হলে অনেকেই জানান, দিগন্ত জোড়া কাশফুলের মনোরম দৃশ্য মানব মনকে করে তোলে আন্দোলিত ও প্রফুল্ল। কাশবন শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না, এর রয়েছে নানা ঔষধি গুণও।