প্রতিনিধি, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) রুহুল আমিন : কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর তাড়াইল উপজেলায় উল্লেখিত ইউনিয়ন পরিষদসমূহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৩টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, ৩টিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তাড়াইল উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। এ সকল ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে চেয়ারম্যানগণ নিয়মিত অনুপস্থিত থাকায় পরিষদে সেবা নিতে আসা লোকজন সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন।
উপজেলার ১নং তালজাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেযারম্যান আবু জাহেদ ভুঁইয়া (স্বতন্ত্র), ৪নং জাওয়ার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক রতন (জাতীয় পার্টি) ও ৬নং দিগদাইড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম আসাদ (জাতীয় পার্টি) পরিষদে মাঝে মধ্যে উপস্থিত হলেও ২নং রাউতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন তারিক (আওয়ামী লীগ), ৩নং ধলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আফরোজ আলম ঝিনুক (আওয়ামী লীগ),
৫নং দামিহা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একে মাইনুজ্জামান নবাব (আওয়ামী লীগ) ও ৭নং তাড়াইল-সাচাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইম দাদ খান নওশাদ (জাতীয় পার্টি) ইউনিয়ন পরিষদে আসা বন্ধ করে দেওয়ায় এ সকল ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে অনুপস্থিত চেয়ারম্যানরা জানান, পরিষদে না এসেও তারা বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যারা জোর করে কেন্দ্র দখল, ভোট জালিয়াতি, সাধারণ মানুষকে নানা হয়রানি করাসহ চেয়ারম্যানের ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলেন তাদের কেউ আর এখন ইউনিয়ন পরিষদে আসতে সাহস করছেন না। যার ফলে ওই সকল ইউনিয়ন পরিষদগুলো চেয়ারম্যান শ‚ন্য রয়েছে।
বিভিন্ন ইউনিয়নে সেবা নিতে আসা ব্যক্তিরা জানান, প্রায় প্রতিদিন ইউনিয়ন পরিষদে এসেও আমরা চেয়ারম্যানের দেখা পাচ্ছি না। তাই আমাদের কাক্সিক্ষত কাজেরও কোনো সমাধান হচ্ছে না।