প্রতিনিধি, তাড়াইল : ‘তামাক কোম্পানীর হস্তক্ষেপ প্রতিহত করি, শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে আসন্ন বাজেটে তামাকের মূল্য ও কর বৃদ্ধির দাবিতে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।
গতকাল (৩১ মে) সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে একটা শোভাযাত্রা বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক আবদুর রউফ তালুকদারের পরিচালনায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমাছ হোসেন। এসময় আরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- ডা. তাসনিমুর রহমান, ডা. সারোয়ার হোসেন রনি, ডা. ফাহাদ হোসেন, দৈনিক শতাব্দীর কন্ঠের তাড়াইল উপজেলা প্রতিনিধি রুহুল আমিন, দৈনিক আলোকিত সকালের তাড়াইল উপজেলা প্রতিনিধি ওয়াসিম উদ্দিন সোহাগ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা শামসুজ্জামান, সাবরেজিস্টার মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আবদুল কাদির প্রমুখ।
প্রধান অতিথি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমাছ হোসেন উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন সরকারের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যার সুফল জনগণ পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সাল নাগাদ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ ঘোষণা করেছেন। তামাকের ব্যবহার জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই বিশ্ব ব্যাপী তামাক নিয়ন্ত্রণ ও তামাকমুক্ত দাবি দিনকে দিন জোরালো হচ্ছে। তামাক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তামাকমুক্ত করার সবচেয়ে কার্যকর ও সাশ্রয়ী উপায় হলো মূল্য ও কর বাড়িয়ে এটিকে মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে নিয়ে যাওয়া।
তিনি আরও বলেন, তামাক সামাজিক পরিবেশ যেমন নষ্ট করে তেমনি প্রাকৃতিক পরিবেশেরও মারাত্মক ক্ষতি করে ফেলছে। সুষ্ঠুভাবে জীবনযাপন করতে হলে তামাকজাত দ্রব্য পরিহার করতে হবে। সমাজকে মাদকমুক্ত করতে হলে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। বর্তমান সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণে সার্বিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বক্তাগণ বলেন, ১৮ বছরের কম বয়সের ব্যক্তির নিকট বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, গুল, সাদাপাতা ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ এবং দÐনীয় অপরাধ। আইন অমান্যে ৫০০০ টাকা জরিমানা।
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও নেশা থেকে রক্ষা করা আমার আপনার সবার দায়িত্ব। তাই আসুন, তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তা নিষিদ্ধ করতে, ২০৪০ সাল নাগাদ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে, তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ প্রতিহত করি, শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করি।