তাড়াইল প্রতনিধি, রুহুল আমনি :
তাড়াইলে খরিা চাষ করে লোকসানরে মুখে কৃষক। আবহাওয়া অনুক‚লে না থাকায় এবং খরিার ফলন ভালো না হওয়ায় ক্ষতরি সম্মুখীন তারা। উপজলো কৃষি অফসি সূত্রে জানা যায়, এ বছর তাড়াইল উপজলোয় খরিা আবাদ হয়ছেে ৩৫০ হক্টের জমিতে। খিরা একটি স্বল্পময়োদি ফসল। এর জীবনকাল মাত্র ৬৫-৯০ দনি। কম সময়ে ভালো আয় হওয়ায় রবি মৌসুমে হাওরাঞ্চলরে শুরু তাড়াইল উপজলোর কৃষকরে কাছে প্রয়ি একটি ফসল।
গতকাল মঙ্গলবার সরজেমিনে উপজলোর বভিন্নি হাওরে গত বছররে তুলনায় এ বছর খিরা ক্ষতে কম দেখা যায়। নারী-পুরুষ ও শশিুরা খরিা ক্ষতেে কাজে ব্যস্ত। কেউবা খিরা তুলছে কউেবা বাছাই করছে আবার কউেবা বস্তায় ভরছে। তাড়াইল সদর বাজার বলেংকা রোডরে কৃষক খাইরুল ইসলাম জানান, আবহাওয়া ঠকি থাকলে অন্য ফসলরে চয়েে খরিা চাষে অধকি লাভ হয়। এমন আশা থকেইে খরিা চাষ করছে। কিন্তু এ বছর ফলন ভালো না হওয়ায় এবং ভালো দাম না থাকায় লোকসান গুনতে হবে।
খরিা ক্ষতেে খরিা তুলতে আসা সোহানুর রহমান জানান, খরিা চাষে খরচ কম অধকি লাভ। তাই আমার বড় ভাই খায়রুল ইসলাম এ বছর খরিা চাষ করে ভালো দাম না পাওয়ায় আমরা লোকসানরে মুখে পড়েছি।
তাড়াইল-সাচাইল ইউনয়িনরে সাচাইল গ্রামরে কৃষক উজ্জল ময়িা বলনে, আমি ৮ কাঠা জমি ৩০ হাজার টাকা দিয়ে অন্যরে কাছ থেকে জিমি নয়িছে। এই জমিতে দুটি ফসল করার জন্য। একটি হল খরিা অন্যটি হলে ইরি বোরো ধান। ৮ কাঠা জমিতে খিরা চাষে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ র্পযন্ত প্রায় ১ লাখ টাকার খিরা বিক্রি করতে পরেছি। তিনি আরও বলনে, আমি আরও প্রায় ২০ হাজার টাকার খিরা বিক্রি করতে পারব।
একই ইউনয়িনরে দাড়য়িাপুর গ্রামরে কৃষক রুবলে ময়িা বলনে, আমি ৩ কাঠা নিজের জমিতে খিরা চাষ করেছি। খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে খিরা বিক্রি করতে পারব। বাজারদর ভালো থাকলে ৪০ হাজার টাকার খিরা বিক্রি করতে পারব।
তাড়াইল উপজলো কৃষি কর্মকর্তা দৈনিক শতাব্দীর কণ্ঠ’র প্রতিনিধিকে জানান, এ বছর আবহাওয়া তেমন অনুক‚লে না থাকায় বৃষ্টির কারণে অনেকেরই খিরা গাছ নষ্ট হয়ে যায়। তবে যাদের খিরা ক্ষেতের চারাগুলি হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে তাদের ক্ষেতে রোগবালাই কম থাকায় কৃষক ভালো ফলন পাচ্ছেন। তিনি বলেন, রবি মৌসুমে খিরা চাষ অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং বাজারে চাহিদা বজায় থাকলে কৃষক এ সফলতা আরও দীর্ঘস্থায়ী করতে পারবেন।