প্রতিনিধি, তাড়াইল, রুহুল আমিন : সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপ‚জা আগামী ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার ১৬টি মন্ডপে ৮ মেট্রিক টন চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবারের মধ্যে চাল বিতরণ সম্পন্ন হবে। প্রতি প‚জামন্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মন্দির কমিটির সভাপতি বা সম্পাদকগণ এ চাল উত্তোলন করছেন।
উপজেলা সদর বাজার পোদ্দারপট্টি সার্বজনীন দুর্গা মন্দির ও পোদ্দারপট্টি যুব সংঘের কোষাধ্যক্ষ অনর্ব পাল আনন জানান, শুভ মহালয়ায় দেবীর আহ্বান শেষে এখন মন্ডপে-মন্ডপে দেবী বরণের প্রস্তুতি চলছে। কৈলাশ থেকে মর্ত্যলোকে আসবেন দেবী দুর্গা। এই উৎসব ঘিরে আমাদের আয়োজনে তৈরি হচ্ছে একটি মন্ডপ। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
তিনি আরও বলেন, প্রতিমা তৈরিতে মাটির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন রং-তুলির আঁচড় শেষে প্রতিমা মÐপে নেওয়ার অপেক্ষায় সবাই। তাই ব্যস্ততায় দিন-রাত এক করে ফেলছেন প্রতিমাশিল্পীরা। প্রতিমাগুলোর গায়ে শিল্পীরা তুলির শেষ আঁচড় দিতে ব্যস্ত, আর চলছে মন্ডপগুলোতে আকর্ষণীয় আলোকসজ্জার কাজ।
উপজেলা প্রশাসন ও তাড়াইল থানা সূত্রে জানা যায়, উৎসব নির্বিঘ্নে এবং সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের জন্য প্রশাসন থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প‚জা উদযাপন কমিটির মধ্যে মতবিনিময় করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূজা উদযাপন কমিটিকে সার্বিক নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
তাড়াইল উপজেলা প‚জা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিশুক ভৌমিক এবং সাধারণ সম্পাদক সাগর দে জানিয়েছেন, প্রতিটি প‚জামন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক দলের ব্যবস্থা থাকবে, যারা শিফট করে পাহারা দেবেন। প‚জার সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধও জানানো হয়েছে।
তাড়াইল থানা ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ সোহেল জানান, প্রতিটি মন্ডপে পুলিশ টহল এবং সাদা পোশাকে নজরদারি থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) তৌফিকুর রহমান জানিয়েছেন, প‚জায় যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে এবং মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে।