প্রতিনিধি, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) রুহুল আমিন : ‘আজকের এইদিনে জিয়া তোমায় মনে পড়ে, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া লও লও লও সালাম’ ¯েøাগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা শাখার আয়োজনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় উপজেলা সদর বাজার মাদ্রাসা মার্কেট প্রাঙ্গণে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র) তাড়াইল উপজেলা শাখার আহŸায়ক সাইদুজ্জান মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। সারোয়ার হোসেন দানুর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- তাড়াইল উপজেলা শাখার যুবদলের আহবায়ক শওকত হোসেন সিদ্দিকী বিপ্লব, সদস্য সচিব জিয়াউর রহমান জিয়া,
তাড়াইল উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আতিকুর রহমান অপু, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর হাসান ভূঁইয়া রাকিব প্রমূখ। এছাড়াও তাড়াইল উপজেলা শাখার জাসাস-এর আহবায়ক মাসুদ হাসান, সদস্য সচিব জিয়াউর রহমান সহ জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে বন্দীদশা থেকে মুক্ত করে এনে ক্ষমতায় বসানো হয়। ১৯৭১ সনে স্বাধীনতা অর্জিত হলেও প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতার সুফল লাভ করতে থাকে ৭৫ এর ৭ই নভেম্বরের পর থেকে।
৭ই নভেম্বর সংঘটিত সিপাহী-জনতার বিপ্লবে অর্জিত বিজয়ের স্মরণে পালিত হয় এই দিবস। কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানটি জেনারেল খালেদ মোশাররফের সামরিক অভ্যুত্থানের পতন ঘটায়। অতপর সিপাহি জনতার এক নতুন বিজয়ের সূচনা হয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সরকারের আমলে ৭ই নভেম্বর বাংলাদেশে সরকারি ছুটি হিসেবে পালিত হতো। পঁচাত্তরের ৭ই নভেম্বর বাংলাদেশের নিপীড়িত, বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের শৃঙ্খলমুক্তির এক জ¦লন্ত উদাহরণ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন- ৭৫ এর পূর্বে এদেশের মানুষ ছিল মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, বাকস্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক অধিকার এমনকি রাজনৈতিক স্বাধীনতা বিলুপ্ত হয়েছিল। যা বহুদিন পর্যন্ত বাকশালের নাগপাশে বন্দি ছিল। ৭ই নভেম্বর মানুষকে সেই বন্দীদশা থেকে মুক্ত করেছিল।