মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন

তাড়াইলে পাটের চেয়ে বেড়েছে পাটকাঠির কদর

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৪
  • ৪২ Time View

রুহুল আমিন, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে এ বছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু পাটের দাম কৃষককে ঠেলে দিয়েছে লোকসানের মুখে। তবে কৃষকের মুখে কিছুটা স্বস্তির হাসি ফুটিয়েছে পাটকাঠি। পাটের দাম খুব একটা ভালো না পেলেও পাটকাঠির দাম দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন কৃষকরা।

তাড়াইল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে এ বছর ৮১৯ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আবাদ হয়েছে ৮২০ হেক্টর জমিতে। দেশী ১১৫, তোষা ৬০, কেনাফ ৪৪০, মেছতা ২৫। এবার পানির সংকট থাকার কারণে পাটের সোনালি রং খুব কম লক্ষ্য করা গেছে।

তাড়াইল উপজেলার জাওয়ার ইউনিয়নের বেলংকা গ্রামের কৃষক আবদুল গণি (৬৪) জানান, গত বছর পাটের দাম কিছুটা ভালো ছিল। সেই আশায় এ বছরও সাত কাঠা জমিতে পাটের আবাদ করেছিলাম। তবে এ বছর বৃষ্টি কম হয়েছে। বৃষ্টি বেশি হলে পাটের মান আরো ভালো হতো। গাছ মোটাতাজা হতো। এতে আঁশ ও বেশি পাওয়া যেত, কৃষকেরা দামও ভালো পেতেন।

তিনি আরও বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর পাটের দাম তুলনামূলক কম, আমি আগের বছরের চেয়ে এ বছর প্রায় তিন কাঠা বেশি জমিতে পাট চাষাবাদ করেছি। হালচাষ, সার-বীজ, সেচ-নিড়ানি, পাট কাটা, ধোয়া শুকানোয় অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে।

আবদুস সালাম, আলতু মিয়া, রমজান আলী বলেন, পাটকাঠি আমাদের এলাকায় পাটখড়ি নামে পরিচিত। আবার কোথাও পাটকাঠি নামও শোনা যায়। আগে সস্তা জ্বালানির বাইরে পাটখড়ির তেমন ব্যবহার ছিল না। বাজারে পাটখড়ির চাহিদা বাড়ায় আঁশের পাশাপাশি কাঠির দামও ভালো পাওয়া যায়। তারা আরও বলেন, পাট চাষ করে এই বছর আমাদের খরচ উঠছে না। পানি কম থাকার কারণে পাট জাগ দিতে হয়েছে পুকুরে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকরা জমির পাট থেকে যে পাটখড়ি পেয়েছে তা ভালোভাবে শুকিয়ে পরিষ্কার করে বিক্রি করতে পারলে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে তাদের। গ্রামের মানুষ রান্নার কাজে ও ঘর তৈরির কাজে ব্যবহারের জন্য পাটকাঠি কিনে থাকে। পাশাপাশি প্রতি আঁটি পাটখড়ি পনেরো টাকা থেকে বিশ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এতে করে কৃষকরা পাটের কম দাম পেলেও পাটখড়ি বিক্রি করে বাড়তি অর্থ ঘরে তুলতে পারছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুমন কুমার সাহা বলেন, তাড়াইল উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ৮১৯ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আবাদ হয়েছে ৮২০ হেক্টর জমিতে। তিনি আরও বলেন, পাটকাঠি রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যে কারণে কৃষকরা পাটখড়ি বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছেন।

আপডেট সংবাদ পেতে শতাব্দীর কন্ঠ পড়ুন, শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
All rights reserved © Shatabdir Kantha . Developed by SDTT Academy & Tech Liberty