রুহুল আমিন, প্রতিনিধি, তাড়াইল : আবারো ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে পেঁয়াজের কেজি। কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার খুচরা বাজারে গতকাল বুধবার দেশি পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। এমন সময়ে পেঁয়াজের দাম একশ ছাড়াল, যখন বাজারে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও বাড়তি।
গতকাল বুধবার তাড়াইল সদর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দু’সপ্তাহ আগের তুলনায় দেশি পেঁয়াজের দাম অনেকটা বেড়েছে। পেঁয়াজের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি বছর পেঁয়াজের মৌসুম শুরুই হয়েছে উচ্চ দাম দিয়ে। ফেব্রুয়ারি মাসে মৌসুমের শুরুতে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকা দরে।
মার্চে পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকা ছাড়িয়েছিল। এরপর এপ্রিলে কিছুটা কমে আবার তা বাড়তে থাকে। কোরবানি ঈদের সময় বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ৮০-৯০ টাকা, যা এখন ১১০ টাকায় পৌঁছেছে। মাত্র একমাস আগে ৮৫ টাকা কেজি দরে দেশি পেঁয়াজ কিনেছিলেন উপজেলা সদরের বাসিন্দা আফরিন সুলতানা।
গতকাল বুধবার সকালে তিনি পেঁয়াজ কিনেছেন ১১০ টাকা কেজি দরে। এক মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ২৫ টাকা বাড়ায় ক্ষুব্ধ গৃহিণী আকলিমা বেগম। তবে সেই ক্ষোভ মনে চেপেই বাজার সারেন আকলিমা বেগম। জানতে চাইলে এই গৃহিণী বলেন, শুধু কি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, চাল, কাঁচা মরিচ, ব্রয়লার মুরগি সবই তো বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এভাবে সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছি।
সা¤প্রতিক সময়ে বাজারে গেলে আকলিমা বেগমের মতো অনেক ক্রেতাই পাওয়া যায়, যারা জিনিসপত্রের ম‚ল্যবৃদ্ধি নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ। এর পেছনে যৌক্তিক কারণও রয়েছে। বাজারে প্রতি সপ্তাহেই বিভিন্ন ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। বিপরীতে যেটুকু দাম কমছে, তা নগণ্য।
এই যেমন গত এক সপ্তাহে বাজারে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি, পেঁয়াজ, করলাসহ সব ধরনের সবজির দাম। বিপরীতে হাতে গোনা দু-চারটি পণ্যের দাম সামান্য কমেছে।
গতকাল বুধবার উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে চার-পাঁচ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। ফলে এ সময় মানুষ বেশি পরিমাণে দেশি পেঁয়াজ কিনেছেন।