প্রতিনিধি, তাড়াইল : তাড়াইল উপজেলায় হঠাৎ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। দিনে প্রখর রোদ, তীব্র দাবদাহ। রাতে ভ্যাপসা গরম। সঙ্গে দুর্বিষহ মাত্রায় বেড়েছে লোডশেডিং। সবমিলিয়ে গ্রাম ও উপজেলা সদরের জনজীবন অতিষ্ঠ। দিনে রাতে ৭-৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। বিঘ্ন হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। দিনে তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
উপজেলার তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়নের কালনা গ্রামের বাসিন্দা বয়োবৃদ্ধ চান্দু ভুঁইয়া বলেন, আমার মত বয়স্ক মানুষের পক্ষে তীব্র গরমে খুবই অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। বিদ্যুতের লোডশেডিং বন্ধে সরকারকে দ্রæত প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি। তিনি আরও বলেন, গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে শুধু রাতেই পাঁচ-ছয় ঘন্টা ধরে লোডশেডিং হচ্ছে। গরমের কারণে ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না।
একই ইউনিয়নের সহিলাটী গ্রামের বাসিন্দা নুরুজ্জামান খান বলেন, শহরের চেয়ে তো গ্রামে আরও বেশি সমস্যা। গ্রামে কারেন্ট গেলেই মনে হয় আর আসার খবর নাই। এত বেশি গরম তার মধ্যে দিন ও রাতের বেশির ভাই সময়ই লোডশেডিং হচ্ছে। তাড়াইল সদর বাজার মনোহারী ব্যবসায়ী কবির হোসেন বলেন, ঘণ্টার পর ঘন্টা থাকে না বিদ্যুৎ। বর্তমানে দিনে-রাতে এভাবেই চলছে বিদ্যুতের যাওয়া আসা। বিদ্যুৎ না থাকাতে ভ্যাপসা গরমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে টিকে থাকাও যায় না।
এদিকে গরমের তীব্রতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকলে দুর্ভোগ হয় আরও তীব্রতর। দিনরাত মিলিয়ে একটানা দেড় ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে দুর্ভোগ বাড়ছে। ঘন ঘন লোডশেডিং এবং প্রচন্ড দাবদাহের কারণে হাটবাজারে লোকসমাগমও কমে গেছে। বিপণিবিতানগুলোয়ও থাকছে ক্রেতাশ‚ন্য।
তাড়াইল জোনাল অফিস কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) ফরিদ আল দীন বলেন, প্রচÐ দাবদাহে সারাদেশে লোড বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হচ্ছে। এ কারণেই ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। আমাদের উপজেলায় ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে পাচ্ছি মাত্র ৫-৬ মেগাওয়াট। এই অবস্থায় লোডশেডিং দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। আশা করছি, দ্রæত সমস্যার সমাধান হবে।