ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি (কিশোরগঞ্জ) মোঃ আবু জামান : কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় দেড় যুগ যাবৎ বন্ধ রয়েছে প্রসবকালীন সিজারিয়ান অপারেশন। ফলে গর্ভবতী মায়েরা প্রসবকালীন জরুরি সময়ে সরকারি সেবা না পেয়ে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, ৩২ শয্যার সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য অপারেশন থিয়েটার ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ রয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনী ডাক্তারের পদটি শূণ্য এবং অজ্ঞানকারী ডাক্তার খাতা-কলমে থাকলেও তিনি সংযুক্তিতে দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে কর্মরত আছেন। গাইনী ও অজ্ঞানকারী ডাক্তারের সংকটে গর্ভবতী প্রসূতি মায়েদের প্রসূতি সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
নিকলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গর্ভবতী প্রসূতি মায়েরা সেবা না পেয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের সরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক ও ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে যেতে বাধ্য হন। বেসরককারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে সেবা পেতে ২০/২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। এলাকার অনেক গরিব পরিবার বেসরককারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের বিল পরিশোধ করতে হিমশিম খেতে হয়।
নিকলী উপজেলায় এখনো সিজারিয়ান অপারেশনের ক্লিনিক গড়ে উঠে নি। বিগত ২০০৪ সালের ৯ জুন সদর ইউনিয়নের কামারহাটি গ্রামের প্রসূতি মা মৌসুমী আক্তার খুকীকে সিজার করে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিজারিয়ান অপারেশন উদ্বোধন করা হয়। কিশোরগঞ্জের তৎকালীন সিভিল সার্জন সিজারিয়ান অপারেশন উদ্বোধন করেন।
ডাক্তার মোঃ মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১০ জনের মেডিকেল বোর্ড সিজার অপারেশন সম্পন্ন করেন এবং প্রসূতি মায়ের পরিবার ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্যগণ মিলে ভ’মিষ্ঠ হওয়া শিশুর নাম রাখেন ”প্রথমা”। হাসপাতালে চলে আনন্দ উল্লাস ও মিষ্টি বিতরণ। আজ অবধি ‘প্রথমা’তেই আকটকে আছে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রসবকালীন সিজারিয়ান অপারেশন। যথাযথ কর্তৃপক্ষ কি সুদৃষ্টি দিবেন?