ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি : নিকলী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আসামি করে ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৪২৭/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৫০৬/১১৪/৩৪ দঃ বিঃ তৎসহ 3/3AThe Explosive Substances Act,1908 ধারায় গতকাল মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জ ৪নং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই দুপুরে নিকলী থানাধীন নিকলী মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ কলেজ সংলগ্ন নিকলী নতুন বাজারগামী রাস্তার উপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন অবস্থায় আসামিগণ পরস্পর যোগসাজসে নিকলী আওয়ামী লীগ অফিস থেকে শটগান, ককটেল, রাম দা, ছুরি, পাইপগান, লোহার রড, লাঠি, হকি স্টিক, হ্যান্ডমেইড পেট্রোল বোমা সহ মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আসামিগণ ত্রাস সৃষ্টি করে জনমনে ভীতি সঞ্চার করে এবং
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচিতে আসামিগণ হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতারি গুলি ও ককটেল বোমা ছুড়ে। ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে এলোপাতারি মারধর ও অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক আহত করে। উক্ত হামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী রায়হান, দিগন্ত ও নিশাদ গুলিবিদ্ধ হয় এবং অসংখ্য সাধারণ মানুষ গুরুতর জখম হয়। এক পযার্য়ে আসামিগণ নিকলী মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে অগ্নিসংযোগ করে, জানালার কাচেঁর গøাস ভাঙচুর করে এবং রাস্তার আশেপাশের দোকানপাট ভাংচুর করে অনুমানিক ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে।
ছাত্র-জনতার চিৎকার শুনে সাক্ষীসহ আরও অনেক লোকজন ছাত্র-জনতাকে সহযোগিতা করার জন্য আসতে থাকলে আসামিগণ অস্ত্রের মহরা ও হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আসামীগণের হামলায় গুলিবিদ্ধ ও আহত আন্দোলনকারীদের নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা জন্য ভর্তি করা হয়।
উল্লেখিত ঘটনার প্রেক্ষিতে মো. শাহ আলম বাদী হয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুছ ভূইয়া জনি, সাবেক উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মো. তাহের আলী, নিকলী সদর ইউপি চেয়ারম্যান কারার শাহরিয়ার আহমেদ তুলিপ, কারপাশা ইউপি চেয়ারম্যান আমান খান, সিংপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী, ছাতিরচর ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ার খান চৌধুরী ও গুরুই ইউপি চেয়ারম্যান তোতা মিয়াসহ ৭৮জনকে আসামী করে ৪নং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেনাজ আফরোজ অভিযোগটি এফআইআর করার জন্য অফিসার ইনচার্জ, নিকলী থানাকে আদেশ প্রদান করেন।