নিকলী প্রতিনিধি, আব্দুর রহমান রিপন :
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে জোরপ‚র্বক বাড়ির জমি দখল ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে উপজেলার প‚র্ব গ্রাম বেড়িবাধের মৃত চিন্তাব আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী, আহমদ আলী, আব্দুর রহিম, জুয়েলের বিরুদ্ধে। অপরদিকে ভুক্তভোগী জুনায়েদ হোসেন প‚র্বগ্রাম প‚র্বহাটি গ্রামের মৃত মো. জিয়াউদ্দিন ভুঁইয়ার ছেলে।
জানা গেছে, চিন্তাব আলীর ছেলেরা জুনায়েদ হোসেনের আপন চাচা মৃত শামসুদ্দীন ভুইয়ার কাছ থেকে বি আর এস রেকর্ড মূলে যার খতিয়ান আর এস ২১১৯, আর এস দাগ নং-৬৮৯৫, শ্রেণি নাম বর্তমান বাড়ি ২৩ শতাংশ জমির তিনটি দলিলের মাধ্যমে মোট ০.৪৮৭ শতাংশ ভ‚মি ক্রয় করে। কিন্তু চিন্তাব আলীর ছেলেরা ০.৮০০ শতাংশ জায়গা জবরদখল করেছে।
জানা যায়, এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বারসহ গণ্যমান্য লোকদের নিয়ে আমিন (সার্বিয়ার) দ্বারা জমি মেপে প্রমাণ হয়েছে চিন্তাব আলীর ছেলেরা তাদের ক্রয় করা জায়গার চেয়ে আরো তিন শতাংশ ভ‚মি বেশি দখল করে রেখেছে।
এ বিষয়ে জুনায়েদ হোসেন বলেন, এলাকার লোকজনদের নিয়ে দখলকারীকে তাদের জায়গা ছেড়ে দিতে বললে তারা জুনায়েদকে মারতে আসে এবং খুন করার হুমকি দেয়।
জুনায়েদ আরও বলেন চিন্তাব আলীর ছেলেরা অত্যন্ত উশৃংখল ও বখাটে প্রকৃতির লোক হওয়ায় সামাজিকভাবে এর প্রতিকার পেতে ব্যর্থ হয়ে নিকলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি এবং পরবর্তীতে থানা থেকে এক জন এস আই ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলীদের অতিরিক্ত দখল করা জায়গায় কাগজপত্র না দেখে কোন স্থাপনা করতে নিষেধ করে আসেন। কিন্তু পরদিন থানা পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাতের আধারে একটি টিনের ঘর তৈরি করে ফেলে।
পুনরায় জুনায়েদ থানায় এসে রাতে অন্যায়ভাবে ঘর উঠানোর কথা থানায় জানালে এসআই আমিনুল বলেন, আমরা প্রত্যেকের জমির দলিল দেখে নিজ নিজ অবস্থানে থাকতে বলে এসেছিলাম, তারা আমাদের কথা যেহেতু অমান্য করেছে এ বিষয়ে আমাদের আর করার কিছু নেই আপনারা আদালতের দ্বারস্থ হন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিন্তাব আলীর দুই ছেলে আব্দুর রহিম ও জুয়েল বলেন, এই জমি আমাদের তারা যদি আমাদের কাছে জমি পায় মনে করে তাহলে আদালতে মামলা করে নিতে হবে। এ বিষয়ে একই এলাকার প‚র্ব গ্রাম জঙ্গির হাটি গ্রামের মৃত সুলতান মিয়ার ছেলে শামসুদ্দিন বলেন, চিন্তাব আলীর ছেলে আব্দুর রহিম ও জুয়েল আমার ৩৭ শতাংশ জমি জবরদখল করে রেখেছে গ্রাম্য শালীশ দরবার কিছুই তারা মানে না আমার জায়গা আমাকে আদালত করে নিতে বলে।
প‚র্বগ্রাম প‚র্বহাটি গ্রামের মৃত খুর্শিদ ভ‚ইয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ৯ শতাংশ জমি চিন্তাব আলীর ছেলেরা জবরদখল করে রেখেছে, প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারি না।
একই গ্রামের মৃত চিন্তাব আলীর আপন ছোট ভাই মনতাজ মিয়া বলেন, আমার আপন বড় ভাই মৃত চিন্তব আলীর ছেলেরা আমার ৯০ শতাংশ ভ‚মি জবরদখল করে রেখেছে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিকলী থানা এস আই আমিনুল বলেন, চিন্তাব আলীর ছেলেরা পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছে, তাই আমি বাদী জুনায়েদকে আদালতের দ্বারস্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।