শতাব্দী ডেস্ক : ইসলামের দৃষ্টিতে দান করা শুধু ধনীদের দায়িত্ব নয়; বরং প্রত্যেক মানুষ সামর্থ্য অনুযায়ী দান করবে এটাই মহান আল্লাহ চান। আর এই দানের সুফল অনেক সময় দুনিয়ায়ই দিয়ে দেওয়া হয়।
এক হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, একদিন এক ব্যক্তি কোনো এক মরুপ্রান্তরে সফর করছিলেন। এমন সময় অকস্মাৎ মেঘের মধ্যে একটি আওয়াজ শুনতে পেলেন যে অমুকের বাগানে পানি দাও। সঙ্গে সঙ্গে ওই মেঘ খÐ একদিকে সরে যেতে লাগল। এরপর এক প্রস্তরময় ভ‚মিতে বৃষ্টি বর্ষিত হলো। ওই স্থানের নালাগুলোর একটি নালা ওই পানিতে সম্পূর্ণরূপে পূর্ণ হয়ে গেল।
তখন ওই লোকটি পানির অনুগমন করে চলল। চলার পথে সে এক ব্যক্তিকে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখতে পেল, যিনি কোদাল দিয়ে পানি বাগানের সব দিকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এ দেখে সে তাকে বলল, হে আল্লাহর বান্দা, তোমার নাম কী? সে বলল, আমার নাম অমুক, যা তিনি মেঘখÐের মধ্যে শুনতে পেয়েছিলেন।
তারপর বাগানের মালিক তাকে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর বান্দা, তুমি আমার নাম জানতে চাইলে কেন? জবাবে সে বলল, যে মেঘের এ পানি, এর মধ্যে আমি এ আওয়াজ শুনতে পেয়েছি, তোমার নাম নিয়ে বলছে যে অমুকের বাগানে পানি দাও। এরপর বলল, তুমি এ বাগানের ব্যাপারে কী করো? মালিক বলল, যেহেতু তুমি জিজ্ঞেস করছ তাই বলছি, প্রথমে আমি এ বাগানের উৎপন্ন ফসলের হিসাব করি। অতঃপর এর এক-তৃতীয়াংশ সদকা করি, এক-তৃতীয়াংশ আমি ও আমার পরিবার-পরিজনের জন্য রাখি এবং এক-তৃতীয়াংশ বাগানের উন্নয়নের কাজে খরচ করি। (মুসলিম, হাদিস : ৭৩৬৩)
শিক্ষা
অভাবগ্রস্তদের দান করলে সম্পদ কমে যায় না; বরং বৃদ্ধি পায়। আর প্রত্যেকের উচিত, নিজের উপার্জিত সম্পদ থেকে কিছু অংশ সম্ভব হলে প্রতিদিন কিংবা প্রতি মাসে কিংবা বছরান্তে দান করা। মহান আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। এর সুফল পরকালের পাশাপাশি দুনিয়ায়ও পাওয়া যাবে, ইনশাআল্লাহ।