প্রতিনিধি, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) এম সাঈদুল ইসলাম : কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় জোর পূর্বক দলিকৃত সম্পত্তি জবর-দখল করে গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করতে গেলে মারধর-হুমকির শিকার হচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবার। এ ঘটনায় উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন কাজিরহাটি গ্রামে আনসার সদস্য মো. জাহাঙ্গীর বাদি হয়ে তিন জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর জানান, তিনি বিবাদী শাহ জাহান ও আলমগীর এবং তার স্ত্রী আছমা আক্তার। বিবাদীগণ আমার ভাই, সর্বদাই আমাকে অত্যাচর নির্যাতন করে আসছে। আমার মাকে ঘর নির্মাণ করে দিলে বিবাদীগন বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও দখলীয় জমিতে থাকা কলাগাছের বাগান কেটে ফেলেছে। জাহাঙ্গীরের মা আমিনা খাতুন জানান, আমার স্বামীর কাছে থেকে পাওয়া জমি বড় ছেলে মো. জাহাঙ্গীরের কাছে বিক্রি করি।
এরপর থেকে এই জমিটি জাহাঙ্গীর এর কাছে দখল নেয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ অপর দুই ছেলে শাহ জাহান, আলমগীর ও তার বউ আছমা আক্তার চেষ্টা করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত (৩ নভেম্বর) অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পূর্ব প্রস্তুতি মোতাবেক জাহাঙ্গীরের বাগানে গিয়ে ১০-১২টি কলা গাছ কেটে ফেলে প্রায় ৪০,০০০ টাকার ক্ষতি সাধন এবং বাগান দখল করার চেষ্টা করে।
পরবর্তীতে থানায় অভিযোগ দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এরপর তিনি আইনগত সহযোগিতা পাওয়ার জন্য থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বর্তমানে জাহাঙ্গীর তার মাকে নিয়ে তিনি নিজেও জীবন শঙ্কায় রয়েছেন বলে জানান। এদিকে শাহ জাহান বলেন, এই জমি বাবা সিরাজ উদ্দীন আমার নামে লিখে দেয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাদী মো. জাহাঙ্গীরের নামে তার বাবা জমি লিখে দেয়। এখন সেই জমি নেওয়ার জন্য শাহজাহান বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া থানার এএসআই রাকিবুজ্জামান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনা আরো তদন্ত করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।