প্রতিনিধি, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) আছাদুজ্জামান খন্দকার : কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপি’র দুটি গ্রæপ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করেছে।
উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক ও সাবেক মেয়র এডভোকেট মো. জালাল উদ্দীনের নেতৃত্বে একটি অংশ এবং যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দীনের নেতৃত্বে আরেকটি অংশ পৃথকভাবে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করে। এ নিয়ে উপজেলা ও তৃণমূল বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক এডভোকেট মো. জালাল উদ্দীনের নেতৃত্বে একটি অংশ উপজেলা সদর বাজারের পাটমহলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পৌর বিএনপির সভাপতি এসএএম মিনহাজ উদ্দীনের সভাপতিত্বে এতে উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক এডভোকেট মো. জালাল উদ্দীন প্রধান অতিথি ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. তৌফিকুল ইসলাম, আতিকুর রহমান মাসুদ, আব্দুস সাত্তার, এরফান উদ্দীন মাস্টার, মানসুরুল হক বাবুল, মাসুদ রানা, এমদাদুল হক ভুলু, বোরহান উদ্দীন সরকার, মোজাম্মেল হোসেন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সুজন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে একই সময়ে উপজেলা বিএনপি’র অপর যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দীনের নেতৃত্বে উপজেলা ডাক বাংলো মাঠে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দীন।
এছাড়া উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদুজ্জামান রিপন ও আব্দুল কুদ্দুস, বুরুদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম ও সদস্য সচিব আইনুল হক, পাকুন্দিয়া পৌর বিএনপির পাঁচ নং ওয়ার্ড সভাপতি জসিম উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পৃথকভাবে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করা নিয়ে উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক কামাল উদ্দীন বলেন, দলীয় কোন পোস্টার বা ব্যানারে ব্যক্তির ছবি ব্যাবহার করা কেন্দ্রীয়ভাবে নিষেধ রয়েছে। কিন্তু এডভোকেট জালাল উদ্দীন দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ব্যানারে তার ব্যাক্তিগত ছবি ব্যাবহার করে আসছেন।
তাই কোন ব্যাক্তির ছবির নীচে আমরা দলীয় কর্মসূচী পালন করতে পারিনা। তাছাড়া তিনি এই কর্মসূচী পালনের জন্য আমাকে নিয়ে কোন পরামর্শ করেননি। তাই আমি আলাদাভাবে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করতে বাধ্য হয়েছি।
অপরদিকে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট মো. জালাল উদ্দীন এ বিষয়ে বলেন, দলীয় কোন কর্মসূচীর ব্যানারে আমার কোন ব্যাক্তিগত ছবি ব্যাবহার করা হয়নি। তাছাড়া আজকের এই কর্মসূচীর জন্য কামাল উদ্দীনকে আমি বহুবার মোবাইল ফোনে কল করেছি। তিনি আমার ফোন রিসিভ করেননি।
পরে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল হক জজ মিয়ার মাধ্যমে তাকে এ বিষয়ে জানিয়েছি। তবুও তিনি আজকের এই কর্মসূচিতে আসেননি। এ বিষয়ে আমার কোন ত্রæটি ছিলনা। এরপরও তিনি কেন এ কর্মসূচীতে আসেননি, আমি বলতে পারব না।