স্টাফ রিপোর্টার : পাকুন্দিয়ায় বৈশাখী মেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শরীফ খান (২৩) নিহতের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত শরীফ উদ্দিন উপজেলার কোষাকান্দা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে এবং কিশোরগঞ্জ সরকারী গুরুদয়াল কলেজের গণিত বিভাগের অনার্স তৃতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় গতকাল নিহতের পিতা আবুল হোসেন বাদি হয়ে মেলা আয়োজন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও নারান্দী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মোসলেহ উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে পাকুন্দিয়া থানায় ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার নারান্দী ইউনিয়নের পোড়াবাড়িয়া গ্রামের রিপন চৌকিদারের ছেলে রাজন মিয়া (৩০), মৃত সাইদুল হকের ছেলে সোহেল মিয়া (২৬), আব্দুল আজিজের ছেলে মাহমুদুল হাসান রাজন (২৭), মৃত নুরুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন শাহিন (২০)। তাদেরকে গতকাল বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পোড়াবাড়িয়া গ্রামে বৈশাখী মেলায় কনসার্টের আয়োজন করে সজিব, সোহেল, শাহিনসহ একদল যুবক। গান চলাকালে ওইদিন দিবাগত রাত ১টার দিকে হঠাৎই অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এমসয় গানের আয়োজক কমিটির সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে কয়েকজন দর্শক। এতে শরীফ খান, আজাদ মিয়া ও লিটন মিয়া নামের তিনজন গুরুতর আহত হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এলাকাবাসী। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শরীফ খান ও আজাদ মিয়াকে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই শরীফ খানের মৃত্যু হয়। আজাদ গুরুত্বর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আসাদুজ্জামান টিটু জানান, এ মামলায় ৪জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।