পাকুন্দিয়া প্রতিনিধি, মুহিব্বুল্লাহ বচ্চন :
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াই সোলারের সাহায্যে সেচ পাম্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার উপজেলার সৈয়দ্গাঁও এলাকায় দশ হাজার কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার প্লান্টের সাহায্যে ৫.৫ হর্স শক্তি সম্পন্ন একটি সেচ পাম্প পরীক্ষামুলক চালু করা হয়েছে।
সোলার পাম্পের গ্রাহক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ছোটনের বাড়িতে কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতির পাকুন্দিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ শহিদুল আলম এই সেচ পাম্পের উদ্বোধন করেন।
ডিজিএম শহিদুল আলম বলেন, সারা বিশ্ব এখন গ্রীন এনার্জি (নবায়নযোগ্য) বিদ্যুৎ অর্থাৎ সূর্যের আলো থেকে সংগ্রহকৃত বিদ্যুৎ ব্যবহারে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশ সে তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। আমাদের দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রচুর জ্বালানি অর্থাৎ গ্যাস, কয়লা এবং ডিজেলের ব্যবহার হয়ে থাকে, এতে উৎপাদন খরচ অনেক বৃদ্ধি পায়। জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন ভবিষ্যতে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। আর এজন্য সরকার সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সূর্যের তাপকে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সংরক্ষণের করার পরিকল্পনা নিয়েছে। সে লক্ষ্যে কৃষিখাতে বিদ্যুৎ বিহীন সেচ পাম্পের ব্যবহার ও বসতবাড়িতে বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে সোলার প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এতে সরকার প্রকল্প বাস্তবায়নের মোট ব্যয়ের ৬০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। গ্রহকগণ নিজেদের প্রয়োজনের চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি বিদ্যুৎ জতীয় গ্রীডে বিক্রি করতে পারবে। ইতোমধ্যে ২১টি জেলার অধীনে ৩৩টি পল্লী বিদ্যৎ সমিতির আওতাধীন এলাকায় ৫টি ক্যাটাগরিতে (৩-১৫) হর্স শক্তি সম্পন্ন ২ হাজার অগভীর সেচপাম্প স্থাপন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক মোঃ নাছির উদ্দিন বলেন, বোরো মৌসুমে এ অঞ্চলে বিদ্যুতের লোডশেডিং থাকে। এজন্য কৃষক সময়মত ক্ষেতে পানি দিতে পারেনা। এ কারণে অনেকেই বোরো আবাদ নিয়ে অনিশ্চয়তায় থাকেন। সোলার চালিত সেচ পাম্প চালু করার কারণে বিরতিহীন পানি পাওয়ার পাশাপাশি কম খরচে চাষ করা যাবে।
এসময় উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাইদুল হক, মোঃ জহিরুল ইসলাম, স্থানীয় কৃষক মোঃ নাছির উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান, হাজী আলাউদ্দিন, চানু মিয়া, হাদিউল ইসলাম, আঃ কাইয়ুম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।