স্টাফ রিপোর্টার : গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে প্রায় অর্ধ কোটি মানুষ বন্যায় চরম মানবেতর জীবন যাপন করছে। কোথাও দাঁড়ানোর ঠাঁই নেই, মৃতজনকে কবর দেয়ার মাটি নেই, সর্বত্রই পানি আর পানি। নারী-শিশু, আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা চরমন খাদ্য সংকটে ভোগছে। শিশু তার মা-বাবাকে খুঁজে ফিরছে। এমনিই মানবিক পর্যয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশকে এক চিলতে শান্তির পরশ বুলিয়ে দিল আমাদের গর্বের ক্রিকেট দল।
খালেদ মাহমুদ, হাবিবুল বাশার, পাইলটদের আক্ষেপ দূর করতে পেরেছে মুশফিক, মেহেদী মিরাজ, সাকিবরা। অবশেষে অবসান হয়েছে পাকিস্তানকে হারানোর অপক্ষোর পালা। পাকিস্তানের মাটিতেই পাকিস্তান বধের ঐতিহাসিক সেই মাহেন্দ্র ক্ষণটি এলে গতকাল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
ঐতিহাসিক এই টেস্ট জয় শুধুমাত্র একটি জয় নয়, তার চেয়েও অনেক কিছু। ২০০১ সালে জয়ের খুব কাছ থেকে যে দিন বাংলাদেশকে ফিরে আসতে হয়েছিল, সেদিন থেকে দীর্ঘ্য ক্লান্তিহীন অপেক্ষার অবসান হলো কাল। অভিনন্দন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
‘রাওয়ালপিন্ডি’ নামটির সাথে এদেশের মানুষের এক তিক্ত ভয়াবহ স্মৃতি বিদ্যমান। কিন্তু এখন থেকে এই ‘পিন্ডি’ বাংলার এক গৌরবের অংশ হয়ে গেল। কারণ, এই পিন্ডি’তেই রচিত হয়েছে পাকিস্তান বধের এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের।
গতকাল টেস্টের পঞ্চম ও শেষদিনে যখন পাকিস্তান ১৪৬ রানে অল-আউট হয়ে যায় তখনই নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের জয়। জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৩০ রান। জাকির হোসেন এবং সাদমান ইসলাম বাকি কাজটা খুব সহজেই শেষ করেন। তার আগে বাংলাদেশের জয়কে সহজই করে দেন মেহেদী মিরাজ এবং সাকিব আল হাসান। তাদের ঘুর্ণিতে কুপোকাত হয় পাকবাহিনী। মিরাজ ২১ রানে ৪ এবং সাকিব ৪৪ রানে ৩ উইকেটে শিকার করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : পাকিস্তান ৪৪৮/৬ ডি. ও ১৪৬ এবং বাংলাদেশ : ৫৬৫ ও ৩০/০। বাংলাদেশ ১০ উইকেটে জয়ী, ম্যান অব দ্য ম্যাচ মুশফিকুর রহিম।