প্রতিনিধি অষ্টগ্রাম : নবনির্মিত কালভার্ট ধ্বসে পড়ায় দীর্ঘ দুই বছর যাবত কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার বড় হাওরের ভাতশালা রাস্তাটি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। এতে হাওরের গুরুত্বপূর্ণ কৃষি পণ্য পরিবহণে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জানা যায়, অষ্টগ্রাম উপজেলার হাওরে মোট আবাদী বোরো জমির পরিমাণ ২৪ হাজার ১শত ২০ হেক্টর। কৃষির প্রায় এক তৃতীয়াংশ বোরো ফসল পরিবহণ এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এই হাওরে প্রায় ৫ হাজার কৃষক বোরো আবাদ চাষ করে আসছে। একসময় হাওরের কৃষক গরুর গাড়ির যানবাহনের মাধ্যমে হাওরের ধান সংগ্রহ করতে হতো। কিন্তু বর্তমানে তার পরিবর্তে ইঞ্জিন চালিত ট্রলি ট্রাক্টর দ্বারা খুব সহজে জমি থেকে ধান আনয়ন করে থাকে। কিন্তু গত দুই বছর যাবত দুইটি কালবার্ট ভাঙ্গার কারণে হাওরের ধান কেটে বাড়িতে আনতে দ্বিগুণ খরচ করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ কৃষকরা। পাশাপাশি দিয়ারার পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের পাড় ভেঙ্গে এখন জমি দখলে পরিণত হচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) প্রকৌশলী বিভাগ কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ রেজাউল হক জানান- উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে কাছে নতুন কালভার্ট নির্মাণে প্রস্তাবনার পাঠানো হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে করা সম্ভব নয় বিধায় বিকল্প ব্যবস্থাপনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সদ্য নির্মিত ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দুইটি কালভার্টের কাজ অত্যন্ত নিম্নমানের হওয়ায় জনমনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বর্তমানে হাওরের এক ফসলী জমির ধান কাটার মৌসুম চলছে, এই মূহুর্তে ভংগা কালভার্টের বিকল্প ব্যবস্থা না নিলে হাওরের সোনালী ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবার আশঙ্কা রয়েছে।