স্টাফ রিপোর্টার : কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সৈয়দ সাঈদ আহমেদ। গত ৫ আগস্টের পর থেকে একের পর এক অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। মানুষকে পিটিয়ে তক্তা বানানোর হুমকি, জলমহাল দখল করা, মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের হয়রানি, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, মামলা বাণিজ্য, নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন, নিয়ম বহির্ভূতভাবে দলীয় পদ ব্যবহার করে অটো মিশুক মালিক সমিতির অনুমোদন দেওয়া, পূর্ শত্রুতার জেরে মামলায় আসামি করাসহ অভিযোগের যেন অন্ত নেই।
তার এসব বিতর্কিত কর্মকান্ডে বিপাকে পড়েছে উপজেলা বিএনপি। দলের চরম ইমেজ সংকটের কারণ হিসেবে স্থানীয় নেতাকর্মীরা দোষ দিচ্ছেন সাঈদ আহমেদের কার্যক্রমকে। তার এমন কর্মকান্ডে গত ৫ আগস্টের পর থেকে ৫ মাসে দল ও দলের নেতাকর্মীরা পড়েছেন বিপাকে। এ ব্যাপারে সাইদ আহমেদকে শোকজের মাধ্যমে সতর্ক করেছে জেলা বিএনপি। এতো কিছু হয়ে যাওয়ার পর অবশেষে প্রকাশ্যে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলেছেন তিন
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার বিষয়ে আনা সকল অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করেন তিনি।
সাঈদ আহমেদ বলেন, অটোরিকশা সমিতিকে তাদের ঐক্য ধরে রাখতে অনুমোদন দেওয়া ছাড়া প্রকাশিত অপরাপর বিষয়গুলোর সাথে আমার অথবা আমার দল বিএনপির কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। দীর্ঘদিন যাবত সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে আসছি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমিসহ আমার অনেক নেতাকর্মী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ম‚লক মিথ্যা মামলায় আসামি হয়েছি এবং মাসের পর মাস কারাবরণ করেছি।
দীর্ঘ সময় ধরে সফলতার সাথে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসাটাই ম‚লত কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলে স¤প্রতি অনুপ্রবেশকারী আওয়ামী লীগের দোসর, সুবিধাবাদী আওয়ামী লীগ এবং হাইব্রীডদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে স্থানীয়ভাবে কুলিয়ে উঠতে না পেরে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বিগত সরকারের দোসররা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার করেছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে, ভবিষ্যতে আমার দ্বারা দলের ইমেজ ক্ষুন্ন হয়, এমন কোন কাজ অতীতেও হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, সাঈদ আহমেদ বিএনপি’র পরীক্ষিত নেতা। তার বিরুদ্ধে একটি মহল মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তারপরও তাকে আমরা সতর্ক করে দিয়েছি। এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যারা দলের ইমেজ নষ্ট করার জন্য অপকর্মে লিপ্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।