প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেছেন, কিশোরগঞ্জে চিকিৎসা করাতে আসা বেশির ভাগ মানুষই গরীব। চিকিৎসার নামে গরীব মানুষদের রক্ত চুষে খেতে চিন্তা ভাবনা করতে হবে। আমাদের সৌভাগ্য এ জেলায় ৩টা মেডিকেল কলেজ আছে। কিন্তু ৩টা মেডিকেল কলেজ থাকার পরেও কেন আমাদের ঢাকা যেতে হবে? আমরা কেন নির্ভরতার জায়গায় পৌছাতে পারছি না? সেটা সকল জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বসে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিতে হবে। গতকাল দুপুরে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হলরুমে মেডিকেল বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এমপি তৌফিক আরো বলেন, আমার কাছে অভিযোগ আসে ইদানিং ক্লিনিকগুলিতে ভূল চিকিৎসা হচ্ছে। আমরা যারা এ রিলেটেড কাজ করি তাদেরকে আরো সাবধান হতে হবে। এমন অভিযোগও আছে এনেসথ্যাসিয়া কোন ডাক্তার দেয় নি, ওয়ার্ড বয় দিয়েছে। আর এ ধরনের অভিযোগ যদি আরো আসে আমরা সোচ্চার হবো। আমরা কাউকে ছেড়ে দিবো না।
তিনি আরো বলেন, আল্লাহ একজন আছে এসব করে আমরা উনার কাছ থেকে মুক্তি পাব কিনা জানিনা। এজন্য আমরা শুধু লাভের চিন্তা করলে হবে না। আমরা যদি নিজেরা ভাল না হই তাহলে আমাদেরকে জোর করে কে ভাল করবে? আমরা নিজেদেরটা যদি নিজেরা না বুঝি তাহলে হবে না। যারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করে তাদেরকে গাউন কোর্ট পরে কাজ করাতে হবে। তা না হলে তারে দিয়ে অনিরাপদ ভাবে কাজ করানোর দায়ে আল্লাহর কাছেও জবাব দিতে হবে।
প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ও হাসপাতাল বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. আ.ন.ম নৌশাদ খানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. হেলাল উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া, কিশোরগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, কিশোরগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মতিন।
এ সময় কর্মশালায় জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু সহ মেডিকেল কলেজ ও বিভিন্ন ক্লিনিকের মালিক, প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।