স্টাফ রিপোর্টার : কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থেকে আট মাসের শিশু নূর মোহাম্মদকে অপহরণের তিনদিন পর ভিকটিমকে লালমণিরহাট জেলা সদর থেকে উদ্ধার এবং এ ব্যাপারে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৫ মে) বিকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এনড অপস) মো. আল আমিন হোসাইন। ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে তিনি জানান, বাজিতপুর উপজেলার পিপড়াদি গ্রামের শরীফ মিয়ার স্ত্রী লিপি আক্তার শান্তার সরারচর বাজারে একটি বিউটি পার্লার রয়েছে।
গত ১১ মে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আসামি প্রীতি আক্তার উক্ত পার্লারে আসে এবং পার্লার মালিকের আট মাসের পুত্র নূর মোহাম্মদকে কোলে নিয়ে কিছুক্ষণ পার্লারের ভেতরে হাঁটহাঁটি করে। পরে লিপি আক্তারের বড় মেয়ে সাইফাকে (৮) পাশের দোকান থেকে চিপস কিনে দেওয়ার কথা বলে সাইফা ও নূর মোহাম্মদকে সাথে নিয়ে সাথী আক্তার বের হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর ফিরে না আসায় লিপি আক্তার সন্তানদের খোঁজাখুঁজি করতে বের হয় এবং তার বড় মেয়েকে রাস্তায় একাকী পেয়ে সাথী আক্তার সম্পর্কে জানতে চাইলে সে জানায় যে, সাথী তাকে চিপস কিনে দিয়ে ছোট ভাইকে নিয়ে চলে গেছে। পরে লিপি আক্তর ঘটনাটি বাজিতপুর থানাকে অবহিত করেন।
পুলিশ তৎপরতা চালিয়ে পরদিন (১৩ মে) সকাল ৯টার দিকে প্রীতি আক্তারকে বাজিতপুরের ভাগলপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, সে শিশুটিকে ঢাকার শাহ আলী মাজারের এক পাগলের নিকট রেখে এসেছে। পুলিশ শাহ আলী মাজারে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে যে, শিশুটিকে উক্ত পাগলের নিকট থেকে আতিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি নিয়ে গেছে।
পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আতিকুল ইসলামের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে লালমণিরহাট সদর থানা পুলিশের সহায়তায় ১৪ মে বিকালে তাকে গ্রেফতার এবং তার হেফাজত থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে বাজিতপুর থানায় প্রীতি আক্তার ও আতিকুল ইসলামকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকালেই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে শিশু নূর মোহাম্মদকে তার মায়ের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হয়।