আহসানুল হক জুয়েল, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি : বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পেয়েছেন কিশোরগঞ্জের হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা আতাউর রহমান খানে দ্বিতীয় পুত্র।
ছাত্র-জনতার গণঅভ’্যত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই আত্মগোপনে চলে যান বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার। তিনি বলেন, বায়তুল মোকাররমের খতিব গত ৫ আগস্টের পর থেকে মসজিদে নামাজ পড়াতে আসছেন না। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার পরও যোগদান করেননি। তাই নতুন একজনকে নামাজ পড়ানোর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বিগত দুই জুমাতেও খতিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মুহাদ্দিস (৫ম গ্রেড) পদে ১৮ বছর ধরে কর্মরত। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া) থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সাবেক মহাসচিব ও আজীবন সহসভাপতি, ফরিদাবাদ জামিয়া ও দারুল উলুম মিরপুর-৬ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এবং কিশোরগঞ্জ জামিয়া ইমদাদিয়ার সাবেক উপাধ্যক্ষ, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য হজরত মাওলানা আতাউর রহমান খানের দ্বিতীয় ছেলে।
তিনি হিফজুল কোরআন থেকে শুরু করে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের জামিয়া ইমদাদিয়াতে পড়াশোনা করেছেন। এ ছাড়া, ঢাকার নেসারিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে কামিল পাস করেন। দেশের অন্যতম শীর্ষ কওমি মাদ্রাসা ঢাকার জামিয়া হুসাইনিয়া আরজাবাদ মাদ্রাসা থেকে ইফতা (মুফতি) সনদ লাভ করেন।
সৌদি আরবের ৪৩তম বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন ও তাফসির প্রতিযোগিতায় ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও ওআইসি যুব কেরাত প্রতিযোগিতার বিভিন্ন অধিবেশনে এবং জাতীয় শিশু-কিশোর কোরআন প্রতিযোগিতায় তিনি বিচারক হিসেবে সংশ্লিষ্ট সবার আস্থা অর্জন করেন।
ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান মিশর, জর্দান, আলজেরিয়া ও সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হিফজুল কোরআন ও বিভিন্ন সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।