এফএনএস : প্রথমবারের মতো বিরল আলোচনায় বসলেন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনা কমান্ডাররা। উভয় পক্ষের বিবৃতি অনুসারে, গতকাল মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেছেন ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের অ্যাডমিরাল স্যামুয়েল পাপারো এবং পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সাউদার্ন থিয়েটার কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল উ ইয়ানান। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে। দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক স্থিতিশীল এবং ভুল বোঝাবুঝি এড়ানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই আলোচনার গুরুত্ব অনেক।
বিশেষ করে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান প্রতিদ্ব›িদ্বতা ও উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে তারা আলোচনায় বসেন। আলোচনার মূল উদ্দেশ্য ছিল সাম্প্রতিক মাসগুলিতে দক্ষিণ চীন সাগর এবং তাইওয়ানের চারপাশে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি এবং বিপদের ঝুঁকি কমানো। চীন ২০২২ সালে ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের সামরিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিল।
আলোচনায় পাপারো বলেন, ‘সিনিয়র সামরিক নেতাদের মধ্যে ধারাবাহিক যোগাযোগ ভুল বোঝাবুঝির ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।’ তিনি দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা বাহিনীর ‘বিপজ্জনক এবং উসকানিমূলক’ কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানান। চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দুই পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থের বিষয় নিয়ে গভীর আলোচনা করেছে।
গত মাসে বেইজিংয়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এবং চীনা নেতা শি জিনপিংয়ের শীর্ষস্থানীয় সামরিক উপদেষ্টার মধ্যে বৈঠকের পর, ব্রাজিলে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের সেনাবাহিনী যৌথ মহড়ায় অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় যা ২০১৬ সালের পর প্রথমবার। আলোচনাটি এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন এই সপ্তাহের শেষে চীনে একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ফোরামে একজন সিনিয়র পেন্টাগন কর্মকর্তা পাঠানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।